BRAKING NEWS

এজিএমসি’তে এডহক সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ বাতিল করল উচ্চ আদালত

Highcourt of Tripura Imageনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মার্চ৷৷ আগরতলা সরকারী মেডিক্যাল কলেজে এডহক ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ বাতিল করে দিল উচ্চ আদালত৷ এর ফলে আগামী ১ জুলাই এডহক ভিত্তিতে নিযুক্ত সহকারী অধ্যাপকরা কর্মচ্যুত হচ্ছেন৷ ২০১২ সালে রাজ্য সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এডহক ভিত্তিতে আগরতলা সরকারী মেডিক্যাল কলেজে ৩৪ জন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ করে৷ এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন ডাঃ আশীষ দেববর্মা ও ডাঃ মণি রঞ্জন দেববর্মা৷ নিয়োগনীতি লঙ্ঘন করেই এডহক ভিত্তিতে ৩৪ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ এডহক ভিত্তিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে তপশীলি জাতি ও তপশীলি উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত সংরক্ষনও মানা হয়নি বলে অভিযোগ৷ শুধু তাই নয়, বিষয় ভিত্তিক সংরক্ষনও দেওয়া হয়নি৷ এসব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে এডহক ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক নিযুক্ত করা হয়েছে৷ এই মামলাটির দীর্ঘ শুনানি হয়৷ দীর্ঘ শুনানির পর বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারপতি এস সি দাসের এজলাসে মামলাটির চুড়ান্ত রায় হয়৷ মাননীয় বিচারপতি ২০১২ সালের এডহক ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছেন৷ এই নিয়োগ বৈধ হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত এডহক ভিত্তিতে তাদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল৷ উচ্চ আদালত এই নিয়োগের সময়সীমা নির্ধারিত সময় পর্যন্তই বহাল রাখার কথা বলেছে৷ ১ জুলাই থেকে এডহক ভিত্তিতে তারা আর কাজ করতে পারবেন না৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নিয়মনীতি ও সংরক্ষন মেনে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ করার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে৷
উল্লেখ্য, সংরক্ষন নীতি মেনে নিয়োগ করা হয়ে থাকলে তপশীলি উপজাতিরা ৩৪ টি আসনের মধ্যে ১০টি আসন পেতেন৷ সেক্ষেত্রে সংরক্ষন নীতি লঙ্ঘন করে তপশীলি উপজাতিদের মধ্যে নিয়োগ করা হয়েছে মাত্র আট জনকে৷ এদিকে, এখনই ঐ ৩৪ জন সহকারী অধ্যাপকের নিয়োগ বাতিল না করে ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল রাখার পেছনে যুক্তি, যেহেতু এক সাথে ৩৪ জনকে ছাটাই করে দেওয়া হলে মেডিক্যাল কলেজে পঠন-পাঠন ব্যাহত হবে৷ সেক্ষেত্রে তাদের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল রেখে ঐ সময়ের মধ্যে এডহক ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত৷ এদিকে, যাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, তারাও চাইলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে উচ্চ আদালত রায়ে উল্লেখ করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *