নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি৷৷ সাব্রুম পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণে জমি নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে৷ তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের বনভূমি রেলের কাজে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রক৷ সুপ্রিমকোর্ট ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছিল৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের তরফে অনুমোদন না মেলায় রেল মন্ত্রক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছিল৷ সোমবার মুখ্যসচিব যশপাল সিং জানান, তৃষ্ণা অভয়ারণ্যে ৯৬ হেক্টর জমি রেলকে দেওয়া হয়েছে৷ বনভূমি সমেত মোট ১৫২৫ হেক্টর জমি রেলের কাজে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ তাতে তৃষ্ণা অভয়ারণ্যে ২২৪১টি গাছ কাটা পড়বে৷ সে অনুমতি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রক দিয়েছে৷ ফলে, ৬২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৯০ টাকা গাছ কাটার অর্থ রেলমন্ত্রক রাজ্যের বনদপ্তরের হাতে তুলে দেবে বলে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন৷
এদিন তিনি জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বনদপ্তর, পরিবহন দপ্তর, রাজস্ব দপ্তর এবং পূর্বোত্তর রেলের আধিকারিকদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তাতে কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের অনুমোদনের বিষয়ে রেলওয়ে আধিকারিকদের জানানো হয়েছে৷ এরই পাশাপাশি তাদেরকে জমি ব্যবহারের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যসচিব এদিন জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গাছ কাটার কাজও শুরু হয়ে গেছে৷ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পূর্বোত্তর রেলের আধিকারিকরা গোমতী জেলাশাসক এবং বন দপ্তরের সাথে আলোচনাক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন৷ ঐ বৈঠকে মুখ্যসচিব রেলওয়ে আধিকারিকদের আগরতলা-সাব্রুম রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ ঘোষণা মোতাবেক মার্চ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে অনুরোধ জানিয়েছেন৷
উল্লেখ্য, বনভূমি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের ছাড়পত্র আবশ্যক৷ দীর্ঘদিন ধরেই তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের বনভূমি বিশেষ করে গাছ কাটার বিষয়টিকে নিয়ে রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ অনিশ্চিয়তার মুখে পড়ে যায়৷ ফলে, রেলওয়ে আধিকারিকরা সময়মতো কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন৷ ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের অনুমতি মিলে যায়৷ ফলে, কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় ছিল রাজ্য সরকার এবং রেলমন্ত্রক৷ ফলে, এখন বনমন্ত্রকের ছাড়পত্র মিলে যাওয়ায় যথা সময়ে আগরতলা-সাব্রুম রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ শেষ হবে বলে এদিন মুখ্যসচিব আশা প্রকাশ করেছেন৷
2016-02-16

