নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই/আগরতলা, ৯ ফেব্রুয়ারি৷৷ সন্ধ্যা রাতে পর পর দুটি তৃণমূলের দলীয় কার্য্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা সংগঠিত হয়৷ হামলায় আহত হন তৃনমূলের জেলা সভাপতি মনোজ দাস এবং তৃণমূলের পূর্বাঞ্চলের সভাপতি সুশান্ত দেবনাথ৷ তৃণমূলের দলীয় কার্য্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা সভাপতি প্রকাশ্যে অভিযোগ তোলেন৷ রাতেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি খোয়াই থানায় লিখিত অভিযোগ জানান চার দুষৃকতির বিরুদ্ধে৷ ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত ৭ ই ফেব্রুয়ারি পূর্ব গনকী, জম্বুরা ও মধ্য গনকী এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকাকে নিয়ে গঠন করা হয় পূর্বাঞ্চল অঞ্চল কমিটি৷ ঐ কমিটির সভাপতি করা হয় সুশান্ত দেবনাথকে৷ পাশাপাশি ঐ দিন একটি সম্মেলনও করা হয়৷ পরে জববর টিলা এলাকায় তৃনমূলের পূর্বাঞ্চল অঞ্চল কার্য্যালয়েরও উদ্বোধন করা হয়৷ দলীয় কার্য্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর এর ঘটনায় জেলা সভাপতি জানান চার দুষৃকতি মদমত্ত হয়ে পূর্বাঞ্চল এর দলীয় কার্য্যালয়ের দলীয় পতাকা নামিয়ে ছিড়ে ফেলে দেয়৷ এই ঘটনার খবর পেয়ে তিনি জাম্বুরা থেকে দৌঁড়ে যান জববর টিলা এলাকায়৷ জববর টিলা কার্য্যালয়ে দুষৃকতিরা হামলা চালিয়ে দলীয় অঞ্চল কার্য্যালয়ে প্রবেশ করে সেখানে দুষৃকতিরা তৃনমূলের বিভাগীয় কার্য্যালয়ে ( অফিসটিলায়) প্রবেশ করে এলোপাথারী ভাবে দা দিয়ে কুপিয়ে কার্য্যালেয়র সবকটা আসবার পথ ভেঙ্গে গুরুিয়ে দেয়৷ দুষৃকতিদের হামলা থেকে বাদ যায়নি নেতাজীর ছবিও৷ ঘটনার খবর পেয়ে তৃনমূলের বিভাগীয় কার্য্যালয়ে ছুটে আসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজীব সেন গুপ্ত, ওসি নারায়ন চক্রবর্তী সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ পুলিশ আধিকারিকদের কাছে মনোজ দাস ঘটনার সাথের জড়িতদের নাম দাম দিয়ে পুরো ঘটনা উল্লেখ করেন৷
খোয়াইয়ের জাম্বুরা জববর টিলায় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস ও আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং জেলা অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ এই ধরনের কার্যকলাপকে রাজনৈতিক সহিংসতা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে৷ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় আগরতলায় রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তৃণমূল কংগ্রেস৷ সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিশ সদর কার্যালয়ে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়৷ এসপি পুলিশ কন্ট্রোল ডেপুটেশন গ্রহণ করেন৷ অভিযোগের সঠিক তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, শাসক দলের ক্যাডার বাহিনী খোয়াই জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির উপরও আক্রমণ চালিয়েছে৷ ক্যাডার বাহিনী স্পষ্টভাবেই হুলিয়া জারি করেছে৷ খোয়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস খোলা যাবে না৷ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থানে আতঙ্কিত হয়েই এই ধরনের সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে অভিযোগ৷ অভিযুক্তদের নামধাম উল্লেখ করেই খোয়াই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ রাতে সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত এব্যাপারে কাউকে গ্রেপ্তারের খবর নেই৷ তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে জববর টিলা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ যে কোন সময় পরিস্থিতি অবনতির ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে৷ পুলিশ পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছে৷
2016-02-10