নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ ফেব্রুয়ারী৷৷ জিকা ভাইরাস নিয়ে নিশ্চিন্তে রয়েছে রাজ্য সরকার৷ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে এলার্ট জারি করেছে৷ এই ভাইরাস মোকাবিলায় নতুন নীতি নির্দেশিকাও পাঠিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে৷ বিভিন্ন বিমান বন্দর এবং সীমান্তে চলছে পরীক্ষা নিরিক্ষা৷ কিন্তু রাজ্যে এনিয়ে কোন হেলদোল লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ আগরতলা বিমান বন্দরে নামকাওয়াস্তে বসানো আছে স্ক্যানার৷ অভিযোগ, সেই ডেস্কে কখনই স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারীকদের দেখা যায় না৷ আখাউরা সীমান্তেও এই ধরনের ভাইরাস স্ক্যান করার কোন ব্যবস্থা নেই৷ অথচ বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে বেনাপোলে সমস্ত যাত্রীদের আসা যাওয়ার সময় পরীক্ষা করে দেখে নিচ্ছে কেউ কোন ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত আছেন কিনা৷ ত্রিপুরা থেকে আন্তর্জাতিক বিমান উঠা নামা এখনো শুরু হয়নি৷ ফলে ঝঁুকি অনেকটা কম ঠিকই৷ কিন্তু ইদানিং রাজ্যে বহু বিদেশী পর্যটক আসছেন৷ লাতিন আমেরিকা থেকে উৎপত্তি জিকা ভাইরাস বিশ্বের সমস্ত প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা৷ সেই মোতাবেক সতর্ক থাকার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক হুশিয়ারী দিয়েছে৷
রাজ্যে অবশ্য এধরনের উদাসীনতা নতুন নয়৷ যখন সোয়াই ফ্লু’র থাবা সারা দেশে মহামারীর আকার ধারণ করেছিল তখনও আগরতলা বিমান বন্দরে ভাইরাস স্ক্যান করার মেশিন নাম মাত্র বসিয়ে দায়িত্ব সেরেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর৷ আবারও যখন জিকা ভাইরাস নিয়ে প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে, তখনও চরম উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর বলে অভিযোগ৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের মতে, জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দেয়নি ভারতে৷ তবুও, যেখানে বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে যে সকল যাত্রীরা বেনাপোল দিয়ে প্রবেশ করছেন তাঁদের পরীক্ষা নিরিক্ষা না করে ছাড়ছেন না৷ তাহলে ত্রিপুরায় কেন এধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে, এনিয়ে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷
2016-02-07