গুয়াহাটি, ৩১ জানুয়ারি, (হি.স.) : রাজ্যের গরিবদের কাছে যাব, দেব সূতা, মশারি, কম্বল ইত্যাদি সামগ্রী| এ-ব্যাপারে কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না বলে সাফ করে দিয়েছেন অসমর মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ| মুখ্যমন্ত্রীর জনকল্যাণ প্রকল্পের টাকায় সূতা, মশারি আর কম্বল বিলির ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ সম্পর্কে তাঁকে স্মরণ করে দিলে তিনি বলেন, কোথায়, সুপ্রিম কোর্ট তো কোনও নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ জারি করেনি| কোর্ট বলেছে, যাবতীয় নিয়ম-নীতি মেনে তবেই ওইসব সামগ্রী বণ্টন করতে হবে| এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সূতা, মশারি আর কম্বল বিলির মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনে ভোটারদের কাছে টানতে সরকারি আর্থিক সাহায্যের টোপ দিয়ে চলেছিল তরুণ গগৈ নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার| কিন্তু সরকারি প্রকল্পের টাকার এমন যথেচ্ছার অপব্যয়ের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করেছে বলে এক খবর প্রচারিত হয়| এতে বেশ বিপাকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ অ্যান্ড কোং| বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থে তথাকথিত মুখ্যমন্ত্রীর জনকল্যাণ প্রকল্পকে কংগ্রেসিকরণ করে ফের দিশপুর দখলের অঙ্ক কষেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী| হাতে আর প্রায় দু-মাস, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক-মুহূর্তে দলের গণভিত্তি ফিরিয়ে আনার এটাই কংগ্রেসের হাতে একমাত্র অস্ত্র| এমতাবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের এই স্থগিতাদেশ বা নির্দেশিকায় গোলপাকের সৃষ্টি হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের অন্দরে| অভিযোগ, প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বাছাই করার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম-নীতি না-মেনে যথেচ্ছভাবে বিলি করা হচ্ছে সূতা, মশারি, কম্বল| যাবতীয় নথিপত্র ঘেঁটে রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর জনকল্যাণ প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থে কেনা সূতা, মশারি আর কম্বল ইত্যাদি সামগ্রী যথাযথ গাইড লাইন মেনে বিলি করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের নেতৃত্বে গঠিত তিনজনের ডিভিশন বেঞ্চ| এবার, এই নির্দেশিকায় পরিপ্রেক্ষিতে সূতা, মশারি ও কম্বল বণ্টনে উপযুক্ত গাইড লাইন মানা নির্বাচনের আগে সম্ভব নয় বলে মনে করে কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রীর সব হিসাবে পাকগোল লেগে গেছে| বেসরকারি সংগঠন আসাম পাবলিক ওয়ার্কস-এর দাখিলিকৃত এক আবেদনের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ|