নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জানুয়ারি৷৷ মনোরঞ্জন ইস্যুতে ঘরে বাইরে চাপের মুখে বুধবার সিপিএম পার্টি অফিসে বৈঠকে বসেন দলের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর, সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য তথা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, গোমতী জেলা সম্পাদক মাধব সাহা সহ দলের রাজ্য কমিটির সদস্যরা৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়া পর থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মনোরঞ্জন আচার্য্যের বিতর্কিত মন্তব্য সিপিএমের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ মনোরঞ্জন আচার্য্যের দাবি তাকে পরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে৷ এমনকি রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যেই তাঁকে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন মামলায় জড়ানো হয়েছে৷ এরই পাশাপাশি আত্মপক্ষ সমর্থনে কোন সুযোগ না দিয়ে দল তাকে বহিষ্কার করায় ক্ষুব্ধ মনোরঞ্জন আচার্য্য শীঘ্রই দলের বহু কেচ্ছা জনসমক্ষে তুলে ধরবেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি আলোচনা করেছেন বলে সূত্র অনুসারে জানা গেছে৷ এই সমস্ত কিছু নিয়ে ভীষণ চিন্তিত মেলারমাঠ তড়িঘড়ি বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, এই বৈঠকে অমরপুরে উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাই সহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের এক জোট করে রাখার বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে৷ মনোরঞ্জনের সমর্থকরা উপনির্বাচনে সিপিএমের উপর ক্ষুব্ধ থাকলে আখেরে দলের ক্ষতি হবে সেনিয়েও আলোচনা হয়েছে৷ তবে, মেলারমাঠ বিশেষভাবে ভাবছে মনোরঞ্জন ইস্যুতে দলীয় কোন্দল চরম আকার যেন না ধারণ করে৷ ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ক্রমশ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে৷ উপনির্বাচনে দলের এই অবস্থা বুমেরাং হয়ে যেতে পারে বলেও শীর্ষ নেতৃত্বরা আশঙ্কা করছেন৷
সূত্র অনুসারে জানা গেছে, অমরপুরে বিক্ষোব্ধ গোষ্ঠীকে ম্যানেজ করার জন্য গোমতী জেলা সম্পাদক মাধব সাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তবে উপনির্বাচনের আগে মনোরঞ্জন আচার্য্য দলের নানা কেচ্ছা জনসমক্ষে তুলে ধরলে অমরপুরে দলীয় অবস্থান সংকটের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সিপিএমে৷