নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জানুয়ারী৷৷ রাজ্যে বিএসএনএল এর পরিষেবা নিয়ে যখন গ্রাহকরা তিতিবিরক্ত তখন ভাঙ্গা ঢোল পেটালেন সংস্থার সিজিএম৷ একই সঙ্গে গ্রাহকদের পরিষেবার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্য্যকরী কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এই ব্যাপারে কোন আশার আলো দেখাতে পারেননি সংস্থার এন ই সার্কেল-১ এর সিজিএম কে কে সাক্সেনা৷ বুধবার কামান চৌমুহনীস্থিত বিএসএনএল কার্য্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন সিজিএম৷ সাংবাদিক সম্মেলনে সাক্সেনা সাহেব রাজ্যে বিএসএনএলের গ্রাহক সংখ্যা কিভাবে বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন৷ তিনি বলেন, রাজ্যে বিএসএনএল এর সিম বিক্র বৃদ্ধি পেয়েছে৷ নতুন ১০ হাজার সিম বিক্রি হয়েছে৷ একই সঙ্গে ল্যান্ড লাইন সংযোগ বৃদ্ধির ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে৷ অন্যদিকে মোবাইল বিটিএস সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও নতুন নতুন স্থানে বিটিএস বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনগণের তরফ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় বিটিএস বসানো সম্ভব হচ্ছেনা৷ টাওয়ার বসানো হলে মানব স্বাস্থ্যের উপর তার ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে বলে জনমনে একটি ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হয়েছে৷ এই ভ্রান্ত ধারনার জন্য অনেকেই বিটিএস বাসানোর ক্ষেত্রে আপত্তি জানাচ্ছেন৷ সিজিএম জানিয়েছেন এই ধরনের কোন ঝঁুকির বিষয় নেই৷
এদিকে গ্রাহকদের পরিষেবার মান কিভাবে উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে সিজিএমের কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি৷ তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ণের জবাবে স্বীকার করেন যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কল ড্রপ এর মতো ঘটনা ঘটে চলেছে৷ তবে এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার উপরও কিছুটা দায় চাপিয়ে দিয়ে তিনি দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ তিনি বলেন, বিটিএস গুলিতে অনেক সময় বিদ্যুৎ থাকেনা সেজন্য প্রযুক্তিগত সমস্যার সৃষ্টি হয় ফলে কল ড্রপ এর মতো ঘটনা ঘটে চলেছে৷ তিনি জানান, বিএসএনএল কতৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যা থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসা যায় সেই বিষয়ে কাজ করছে৷ অন্যদিকে সন্ধ্যার পর থেকে বিএসএনএলের ব্রডব্যান্ড তথা ইন্টারনেট পরিষেবার যে গঙ্গাপ্রাপ্তি হয় সেই বিষয়ে তিনি বলেন ইন্টারনেশন্যাল ইন্টারনেট গেটওয়ে চালু হয়ে গেলে এই সমস্যা আর থাকবে না৷ বাংলাদেশের ভেতরে দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে টেলি পরিষেবার যে প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়েছিল সেটির কাজ প্রায় ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে গেছে৷ কবে নাগাদ ইন্টারনেশন্যাল ইন্টারনেট গেটওয়ে চালু হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷ তবে খুব শীঘ্রই তা চালু করা হবে বলে জানান৷ এই ইন্টারনেশন্যাল ইন্টারনেট গেটওয়ে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে কারা উপস্থিত থাকবেন এই ব্যাপারেও সিজিএম কে কে সাক্সেনা নীরবতাই অবলম্বন করেছেন৷ প্রসঙ্গক্রমে, সিজিএম জানান রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজার গ্রাহক রয়েছে বিএসএনএলের৷ তার মধ্যে ২৮ হাজার ল্যান্ড লাইন গ্রাহক, ৩২ হাজার ডব্লিও এল এল গ্রাহক এবং বাকিরা প্রিপেইড এবং পোস্ট পেইড মোবাইল গ্রাহক৷
এই বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের দায়িত্ব কাধে নিয়ে বিএসএনএল যে রীতমতো হিমসিম খাচ্ছে তা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন সিজিএম৷ তিনি জানান কর্মী স্বল্পতার দরুন কাজকর্মে কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে৷ নতুন নিয়োগের ব্যাপারে কোন উদ্যোগ কর্পোরেট অফিস নিচ্ছেনা বলেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷