প্রতিবেশীর দ্বারা শারীরিকভাবে হেনস্থার শিকার মহিলা, থানায় মামলা

আগরতলা, ৯ জুলাই:
সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর দ্বারা শারীরিকভাবে হেনস্থার শিকার হলেন এক মহিলা। মহিলার স্বামীকেও বেধড়কভাবে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নির্যাতিতা মহিলা গত শনিবার রাত প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ বাচ্চাকে নিয়ে নিজের বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই তাদের সামনে দিয়ে একটি গাড়ি খুব দ্রুতগতিতে যায়। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওই মহিলা গাড়ির চালকদের বলেন এতো দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ফলে এখনই দুর্ঘটনার শিকার হতে পারতেন মহিলা ও তার বাচ্চা। আর এই কথাতেই বাঁধে বিপত্তি। অভিযোগ প্রতিবেশী লিটন মিয়ার ছেলে সেই গাড়িতে ছিলেন। তারা মহিলাকে খুব খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এদিকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে মহিলার স্বামী ছুটে আসলে মহিলার স্বামীকে বেধরক ভাবে মারধর করে লিটন মিয়া এবং তার দুই ছেলে। একটা সময় প্রাণ বাঁচাতে স্বামী পালিয়ে গেলে ওই মহিলাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করে লিটন মিয়া ও তার ছেলেরা। অভিযোগ, মহিলাকে টেনে হিচড়ে সামনের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মহিলাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ওই তিন অভিযুক্ত।

এদিকে মহিলার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে নির্যাতিতা মহিলাকে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন মহিলার চিৎকার শুনে তারা ছুটে এসে দেখেন জঙ্গলের পাশেই ওই মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছে তিন অভিযুক্ত। এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। এদিকে মহিলার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন তিন অভিযুক্ত। যদিও ঘটনার তিনদিন অতিক্রান্ত হলেও পুলিশ এই ঘটনা এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ লিটন মিয়া এবং তার ছেলেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। এক নিরীহ মহিলাকে বাড়িতে একা পেয়ে এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সুবিচারের দাবিতে ইতিমধ্যেই রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই নির্যাতিতা মহিলা। এখন দেখার প্রশাসন ওই মহিলাকে কিপ্রকারে সাহায্য করে।