কেভাডিয়া, গুজরাতে ১০-১১ জুলাই ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের দু’দিনব্যাপী সম্মেলন

নতুন দিল্লি, ৯ জুলাই : কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ১০ ও ১১ জুলাই ২০২৫ তারিখে গুজরাতের কেভাডিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের এক গুরুত্বপূর্ণ দু’দিনব্যাপী সম্মেলন। এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রতিমন্ত্রী ড. শুকান্ত মজুমদার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এই সম্মেলন জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-এর পাঁচ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে আয়োজিত হচ্ছে এবং এর মূল উদ্দেশ্য হল কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নীতির অগ্রগতি মূল্যায়ন ও ভবিষ্যতের দিশা নির্ধারণ।

সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয় হবে কৌশলগত সমন্বয়, সহকর্মীদের মধ্যকার শিখন ও জ্ঞান বিনিময় এবং আগত নীতিগত রূপান্তর ও ২০৪৭ সালের বৈশ্বিক শিক্ষা বাস্তবতায় প্রস্তুতির পরিকল্পনা। সম্মেলনে উচ্চশিক্ষার তিনটি মুখ্য স্তম্ভ – শিক্ষা/শিক্ষণ, গবেষণা ও প্রশাসন – নিয়ে ১০টি থিমেটিক সেশনের আয়োজন করা হবে। এতে আলোচিত হবে এনএইচইকিউএফ/এনসিআরএফ ও চার বছরের স্নাতক কোর্স, কর্মসংস্থানের উপযোগী কোর্স কাঠামো, স্বয়ম ও অপার-এর মাধ্যমে ডিজিটাল শিক্ষা ও ক্রেডিট ট্রান্সফার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য সমর্থ প্ল্যাটফর্ম, হেই -তে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরির কৌশল, এবং প্রধানমন্ত্রী বিদ্যা লক্ষ্মী ও ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন উদ্যোগ।

এছাড়াও আলোচনায় স্থান পাবে ভারতীয় ভাষা ও জ্ঞানব্যবস্থার প্রসার, গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক প্রকল্প যেমন এএনআরএফ ও পিএমআরএফ, র্যাঙ্কিং ও স্বীকৃতি প্রণালী, আন্তর্জাতিকীকরণে স্টাডি ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম এবং মালব্য মিশন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।

সম্মেলনে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করবে, যার মধ্যে রয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, হরিয়ানা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ, বিশ্বভারতী, সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।

জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ ভারতীয় উচ্চশিক্ষাকে ২০৪০ সালের মধ্যে রূপান্তরিত করে এক বহুমাত্রিক, গবেষণাভিত্তিক ও বৈশ্বিক মানের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, এই সম্মেলন সেই লক্ষ্যের বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় আরও মজবুত হবে এবং বিকসিত ভারত@২০৪৭-এর লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে উচ্চশিক্ষা খাতের ভূমিকা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত হবে।