সেনা পোশাক বিক্রিতে কড়াকড়ি দেহরাদূনে, ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ

দেহরাদূন, ২৫ এপ্রিল (হি.স.): সেনা ও আধাসেনার পোশাক বিক্রির জন্যই নাম ছিল দেহরাদূনের পল্টন বাজারের। সেনাবাহিনীর জামা-প্যান্ট বিক্রি হয় সেখানে। কিন্তু, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে সেনা পোশাক বিক্রিতে কড়াকড়ি করা হয়েছে দেহরাদূনের এই বাজারে। সতর্ক করা হয়েছে দোকানদারদের।

সেনা পোশাকেই পহেলগামে নিরপরাধ পর্যটকদের ওপর হামলা চালিয়েছিল পাক-জঙ্গিরা। সন্ত্রাসীরা ‘ইউনিফর্ম’-এ ছিল বলেই পর্যটকদের প্রথমে কোনও সন্দেহ হয়নি। আর যাতে সে ভুল না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি করছেন দেহরাদূন পুলিশ কর্তৃপক্ষ। গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায়, দেহরাদূনের এসএসপি অজয় ​​সিং সমস্ত স্টেশন ইনচার্জদের তাঁদের নিজ নিজ এলাকার দোকানগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে সেনা/আধাসামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত ইউনিফর্ম এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়। এসএসপি এই ধরণের সমস্ত দোকান মালিকদের যথাযথ যাচাই ছাড়াই ইউনিফর্ম এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি না করার নির্দেশও দিয়েছেন।

দেরাদুনের এসএসপি অজয় ​​সিং বলেছেন, “আগে, পুরনো ব্যাটালিয়নরা এখানে পল্টন বাজারে কেনাকাটা করতে আসত। এখানে অনেক দোকান আছে যেখানে সেনা বা পুলিশের পোশাক বিক্রি হয়। সম্প্রতি, আমরা এলোমেলোভাবে পরীক্ষা করে দেখেছি যে, দোকানগুলি কেবল অনুমোদিত কর্মীদের কাছে সামরিক এবং পুলিশের পোশাক বিক্রি করছে কিনা। আমরা সবাইকে (দোকান মালিকদের) গ্রাহকদের পরিচয়পত্র সঠিকভাবে পরীক্ষা করতে বলেছি।”

দোকানদার সাগর আহুজা বলেছেন, “এসএসপি এখানে এসে নির্দেশ দিয়েছেন, কেউ যদি ইউনিফর্ম কিনতে আসে, তাহলে আমাদের তাদের আধার কার্ড, আইডি কার্ড এবং ফোন নম্বর কঠোরভাবে পরীক্ষা করতে হবে। তাদের ফোনে কল করে দেখতে হবে যে কলটি তাদের ফোনে যাচ্ছে কিনা। আমাদের তাদের ঠিকানা এবং তাদের ইউনিটের নাম লিখে রাখতে হবে। এত কিছুর পরেই আমরা যে কাউকে ইউনিফর্ম বিক্রি করতে পারব।”