আগরতলা, ১১ জানুয়ারি : সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে একাংশ চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন হেডলাইনস ত্রিপুরা-র সাংবাদিক প্রশান্ত দে। শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি-তে তাঁর মোবাইল ভেঙে গিয়েছে। সংস্থার তরফে থানায় মামলা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ফোরাম ফর ডেভলপমেন্ট এন্ড প্রটেকশন অব মিডিয়া কমিউনিটি এবং ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এক প্রেস বিবৃতিতে ফোরাম বলেছে, গতকাল আগরতলার প্যারাডাইস চৌমুহনীতে একাংশের ১০৩২৩ চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে একটা ক্ষুদ্র অংশের চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন হেডলাইনস ত্রিপুরার সাংবাদিক প্রশান্ত দে। ফোরাম ফর ডেভলপমেন্ট এন্ড প্রটেকশন অব মিডিয়া কমিউনিটি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। ফোরাম মনে করে, সংবাদ সংগ্রহ করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত । এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করা সম্পূর্ণভাবে অগণতান্ত্রিক। ফোরাম উদ্বেগের সাথে বলেছে, পেশায় যারা শিক্ষক ছিলেন তাদের কাছ থেকে এধরণের অগণতান্ত্রিক ভূমিকা অনভিপ্রেত। হেডলাইনস ত্রিপুরার পক্ষে এমর্মে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সাংবাদিক নিগ্রহে অভিযুক্তদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জন্য রাজ্যের আরক্ষা প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখছে ফোরাম ফর ডেভলপমেন্ট এন্ড প্রটেকশন অব মিডিয়া কমিউনিটি (FDPMC)। পাশাপাশি পেশায় যারা শিক্ষক ছিলেন তাদেরকে আরো সংযত আচরণ করার পরামর্শ দিয়েছে ফোরাম।
এদিকে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এক প্রেস বিবৃতি-তে বলেছে, গতকাল প্যারাডাইস চৌমুহনীতে গণঅবস্থানরত চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হেডলাইন্স ত্রিপুরার চিত্রসাংবাদিক প্রশান্ত দে-কে কতিপয় চাকুরিচ্যুত শিক্ষক দৈহিক নির্যাতন করেন ও বিশ্রীভাবে গালি গালাজ দেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ত্রিপুরা ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশন। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছে ত্রিপুরা ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশন।
ওই ঘটনায় হেডলাইন্স ত্রিপুরা পশ্চিম আগরতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে বলেছে ধলেশ্বর মণিপুরীবস্তি-র বাসিন্দা চাকুরিচ্যুত শিক্ষক সঞ্জয় শর্মা সাংবাদিক প্রশান্ত দে-কে সংবাদ সংগ্রহে গেলে মারধর করেছেন এবং ওই শিক্ষক সহ অন্যান্যরাও বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।

