নয়াদিল্লি, ২৮ নভেম্বর (হি.স.): গত বছর সাফিন জাহানের সঙ্গে হাদিয়ার বিয়েকে বাতিল করে দেয় কেরালা হাইকোর্ট৷ সেই সঙ্গে হাদিয়াকে তার
পরিবারের হাতে তুলে দেয় আদালত৷ কেরালা হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে হাদিয়ার স্বামী সাফিন৷ সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে৷ কেরালা লাভ জিহাদ কেসে সুপ্রিম কোর্ট এদিন হাদিয়াকে হোমিওপ্যাথি কলেজে ফিরে গিয়ে পড়াশুনা শেষ করার আদেশ দিল৷ এদিন শীর্ষ আদালতে দাঁড়িয়ে হাদিয়া তার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চেয়ে আবেদন করেন৷ বলেন, আমি স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে চাই৷ পড়াশুনা শেষ করে একজন নাগরিক হিসাবে সুস্ঠ ভাবে বাঁচতে চাই৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে হাদিয়াকে তার পড়াশুনা শেষ করার আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র৷ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর এজলাসে চলে শুনানি৷ হাদিয়ার আগে প্রধান বিচারপতির এজলাসে লাভ জিহাদ মামলা নিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) তাদের বক্তব্য তুলে ধরে৷ প্রায় ১০৫ মিনিট ধরে আদালতকে এনআইএ’র আধিকারিকরা এই মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে একশো পাতার রিপোর্ট জমা দেয়৷ এনআইএর বক্তব্য শেষেই এরপর এজলাসে আসেন হাদিয়া৷
আদালতকে হাদিয়া জানান যে সে স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চায়৷ গত এগারো মাস ধরে সে তার পরিবারের সঙ্গে আছে৷ আদালতের কাছে মুক্তি প্রার্থনা করে সে৷ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র হাদিয়াকে জিজ্ঞেস করেন যে সে রাজ্যের খরচায় পড়াশুনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী কিনা৷ জবাবে হাদিয়া বলেন, রাজ্যের নয় স্বামীর খরচায় পড়াশুনা করতে চায় সে৷ এরপরই হাদিয়াকে তামিলনাড়ুর সালেমের হোমিওপ্যাথি কলেজে ফের পড়াশুনা করার আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি৷ একই সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষকে হাদিয়াকে নতুন করে ভর্তি নেওয়ার আদেশ দেন৷ গত এক বছরের বেশি সময় ধরে খবরের শিরোনামে হাদিয়া জাহান৷ হিন্দু মেয়ে অখিলা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করে৷ বিয়ের পরই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সে৷ নতুন নাম হয় হাদিয়া৷ অখিলার পরিবারের অভিযোগ, মগজ ধোলাই করে তাদের মেয়েকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে৷ এই ঘটনা পরবর্তী কালে লাভ জিহাদ নামে ছড়িয়ে পড়ে৷ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জগদীশ সিং খেহর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এনআইএকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা৷
2017-11-28
