কলকাতা, ২২ নভেম্বর ( হি.স.): অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে এবার সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করলেন বি জে পি নেতা মুকুল রায়
৷ সেখানে নাম না করে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতির উদ্দেশ্যে লিখছেন, ‘কেউ ছলের আশ্রয় নিয়ে রাজনৈতিক ময়দান থেকে পালাতে চাইলে পালাক৷ কিন্ত আমি রাজনৈতিক ময়দানে থেকে এ লড়াই লড়ব’৷
এখন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা আর শুধু জনসভার মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন না ৷ বরং এখন তাঁরা ব্যবহার করছেন সোশ্যাল মিডিয়াকেও ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন সদ্য বি জে পি-তে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ও ৷ সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বেশ কয়েকবার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন৷ বুধবার সকালেও তাই করলেন ৷ দীর্ঘ একটি পোস্ট করে একাধিক বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন তিনি ৷
মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার আদালত ‘বিশ্ববাংলা’ ইস্যুতে অভিষেকের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ৷ ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ ওই মামলার পরবর্তী শুনানি ৷ তার আগে এই ইস্যুতে অভিষেকের বিরুদ্ধে মুকুল রায় কিছু বলতে পারবেন না বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে ৷ এদিনের পোস্টে সেই প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন মুকুল রায়৷ লিখেছেন, ‘গতকাল আলিপুরদুয়ার সিভিল কোর্টে আমি ১০/১১/২০১৭ বি জে পি-র মঞ্চ থেকে যে যে অভিযোগগুলো তুলেছিলাম সেগুলো যাতে আর না বলি তার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ৷ ভারতবর্ষের সংবিধান আমাকে দিয়েছে বাক্ স্বাধীনতা সেটা কেউ কোনওদিন হরণ করতে পারে না৷ আমি যথাসময়ে মুখ খুলব এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেব’৷ আর তারপরই নাম না করে অভিষেকের সমালোচনা করেছেন ৷ রাজনৈতিক ময়দান থেকে কেউ কেউ পালানোর চেষ্টা করছেন বলে কটাক্ষ করেছেন ৷ একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘সত্যর কন্ঠ কখনও রোধ করা যায়নি এবং যাবে না ৷ সত্যর জয় নিশ্চিত’৷
এদিকে, বুধবার বিধানসভায় এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও ৷ তাঁর প্রশ্ন, কোর্টে গিয়ে কতদিন আর রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করবেন ?
বুধবার ফেসবুকে করা ওই পোস্টে মুকুল রায় রাজ্যের বিরুদ্ধে তাঁর তোলা ফোনে আড়িপাতার বিষয়টি নিয়েও লিখেছেন ৷ দাবি করেছেন, ‘প্রাথমিক ভাবে আমার অভিযোগকে কোর্ট মান্যতা দিল’৷ তাঁর কথায়, ‘গত ২০/১১/২০১৭-তে দিল্লি হাইকোর্ট আমার ফোন ট্যাপিং মামলায় রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে এবং রাজ্যকে লিখিত দিতে বলেছে যে, তারা আমার ফোন ট্যাপ করেনি ৷ কিন্ত রাজ্য সেটা করতে না পারায় আগামী ১ মাসের মধ্যে মুখবন্ধ খামে রাজ্যকে এভিডেভিট দিতে বলেছে যে, তারা আমার ফোন ট্যাপ করে কিনা এবং টেলিফোন অপারেটরদের জানাতে হবে যদি ফোন ট্যাপ হয় কার নির্দেশে হয়েছে, কী কী রের্কড করা হয়েছে’৷’
একই সঙ্গে ওই পোস্টে ত্রিপুরায় সাংবাদিক খুনেরও নিন্দা করেছেন তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, ‘এর থেকে আবার প্রমাণ হল যে ওখানে আইনের শাসন নেই’৷ এই ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করারও দাবি জানিয়েছেন মুকুল রায় ৷
2017-11-23

