নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমারঘাট, ১৩ আগস্ট৷৷ ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমার পেঁচারথলের বাঘাইছড়া এডিসি ভিলেজে বন দপ্তরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে যেকোন দিন যেকোনো মুহুর্তে আইন শৃঙ্খলা এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি হতে পারে৷ বন দপ্তরের এক কর্মীর খামখেয়ালীই এর মূল কারন৷ বন দপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্তারা অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত বলে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের দাবি৷ পেঁচারথলের বাঘাইছড়া এডিসি ভিলেজের অধীনে ত্রিপুরা জাইকা প্রকল্পের বাঘাইছড়া জে এফ এম সি- এর প্রায় একশো হেক্টর প্রজেক্ট এরিয়া রয়েছে৷ এই প্রজেক্ট এরিয়ার ভিতরে দামী দামী শাল-সেগুন ইত্যাদি গাছ এবং বহু ঔষধী গাছ রয়েছে৷ বাঘাইছড়া এডিসি ইভলেজের অধীনে একশো এক্টর প্রজেক্ট এরিয়াও বাইরে প্রায় একশো অউপজাতি পরিবার বসবাস করে৷ আজ পর্যন্ত এই এডিসি এলাকায় কোনো ধরনে অশান্তি হয়নি৷ সম্প্রতি নন্দ চাকমার নেতৃত্ব এগারোটি চাকমা পরিবার এই প্রজেক্ট এলাকায় এসে মূল্যবান গাছগুলির কেটে বাইরে বিক্রি করছে এবং এই প্রজেক্ট এরিয়ার মধ্যে ঐ অবৈধভাবে বসবাসের জন্য স্থায়ীভাবে ঘরও তৈরী করছে৷ স্থায়ীনরা প্রাথমিক ভাবে বাঁধা দিলেও নন্দ চাকমারা সে সবকে পাত্তাই দেয়নি৷ উল্টো নন্দ চাকমা প্রজেক্ট এরিয়ার বাইরের লোকদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে৷ পেঁচারথলের রেঞ্জ অফিসার মনিমর শর্মাকে কয়েকবার বলার পর কোনো কাজ না হওয়ার পর স্থানীয়রা পেঁচারথল থানায় খবর দেয়৷ পেঁচারথল থানা খবর শোনা মাত্রই, থানার পুলিশ অফিসার সুমন আচার্য্যর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ এবং টি এস আর বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়৷ মনিময় শর্মাও ঘটনাস্থলে আসেন এবং রেঞ্জার মনিময় শর্মা গ্রামের মানুষের সামনে এবং এডিসি ভিলেজের প্রতিনিধিদের সামনে স্বীকার করেন যে, অবৈধভাবে এগারোটি পরিবার প্রজেক্ট এরিয়ার মধ্যে জায়গা দখল করে ঘর তৈরী করছে এবং বনও ধবংস করছে৷ রেঞ্জাারকে স্থানীয় মানুষ সহ অন্যান্য বনকর্মীরা এবং এডিসি ভিলেজের প্রতিনিধিরা দাবী করেন যে যারা এই জায়গা দখল করেছে এবং বন ধবংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা কিংবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য৷ কিন্তু মনিময় শর্মা এ ব্যাপারে পরিস্কার কিছু বলেননি৷ রেঞ্জার মনিময় শর্মা স্বীকার করার পর বনকর্মীরা সহ স্থানীয় মানুষরা অবৈধ নির্মিত ঘরগুলি নিজেরাই ভেঙ্গে দেয়৷ মনিময় শর্মা প্রজেক্ট এরিয়ার গাছ বেশী কাঁটা হয়নি বললেও বাস্তবে প্রজেক্ট এরিয়ার ভিতরে অনেক গাছ কাঁটা হয়েছে এবং অনেক গাছ অবৈধ কেঁটে রেখে দেয়া হয়েছে এমনকি এই কথাটা বনদপ্তরের জাইকা প্রকল্পের এক কর্মী রেঞ্জারের সামনেই স্বীকার করেছেন৷ এইভাবে অবৈধভাবে দখল করে ঘর নির্মাণ করা এবং বন ধবংসে ও গ্রামবাসী৷ অন্য জায়গায় থেকে এই এগারোটি পরিবার এসে এখানে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করেছে একথা বাঘাইছড়া এডিসি ভিলেজের সদস্য গৌরাঙ্গ মালাকার এবং ভাইস চেয়ারম্যান পরিমল সরকারও স্বীকার করেছেন৷ এবং এমনকি উনারাও নিজেরা গ্রামবাসীর সঙ্গে অবৈধঘর গুলি ভেঙেছেন৷ এসব ব্যাপারে নন্দ চাকমাকে জিজ্ঞেস করা হলে উনি সহজে বলতে চাননি যে, উনারা অবৈধ কাজ করেছেন৷ এবং উনি প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলেও অস্বীকার করেন৷ তবে, রেঞ্জার এখন পর্যন্ত নন্দ চাকমা সহ এগারো পরিবারের বিরুদ্ধে কিছুই করেননি৷
2017-08-14

