নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ আগষ্ট৷৷ রাজধানী আগরতলার নোয়াগাঁও -এ যুবতীকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তিকেও যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিল ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট৷ ২০১৪ সালে আগরতলার পার্শ্ববর্তী নোয়াগাঁও এ এই ঘটনায় বিস্তর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল৷ গতকালই হৃদ
কোমল সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত৷ প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল পূর্ব থানাধীন কৃষ্ণনগর নোযাগাঁওএ মেঘলিমুড়া ছড়াতে এক যুবতির অর্ধনগ্ণ দেহ উদ্ধার হয়৷ মৃতদেহের গলায় একটি লংপ্যান্ট জরানো ছিল যা দেখে আপাতত দৃষ্টিতে যুবতিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রমাণ হয়৷ মৃতদেহের কাছ থেকে মোবাইল ফোনের একটি চার্র্জর, চিরুনি, ব্যাগ ছাড়াও কিছু আনুষঙ্গিক সামগ্রী উদ্ধার হয়৷ তবে মেয়েটির কোন পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ৷ ফলে নিয়মানুযায়ী মৃতদেহের ময়না তদন্তের পর জেলা শাসকের অনুমতি নিয়ে মৃতদেহ সৎকার করে দেয়৷
কিন্তু তদন্ত শুরু করেও কোন সূত্র খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ৷ ইতিমধ্যে তেলিয়ামুড়া থানা সূত্রে পূর্ব থানার পুলিশ এক যুবতির নিখোঁজের খবর জানতে পারে এবং পূর্ব হাওয়াই বাড়ির নিখোঁজ সেই যুবতির বাড়ির লোকজনকে মৃতদেহের ছবি দেখানো হলে তারা তাদের নিখোঁজের খবর জানতে পারে এবং পূর্ব হাওয়াই বাড়ির নিখোঁজ সেই যুবতির বাড়ির লোকজনকে মৃতদেহের ছবি দেখানো হলে তারা তাদের নিখোঁজ মেয়ে হিসাবে শনাক্ত করে৷ বাড়ির লোকেদের কাছ থেকে পুলিশ মৃতার পরিচিতদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে এবং কল ডিটেল যাচাই করে লাড্ডু চৌমুহনীর বাসিন্দ হৃদ কোমল সরকার নামে এক যুবককে আটক করে ০৯/০৫/২০১৪ ইং তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়৷ রিমান্ডে রেখে পুলিশ তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালায় এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠায় ডিএনএ পরীক্ষায় জন্য৷ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শেষ পর্যন্ত ধৃত যুবক এই খুনের দায় স্বীকার করে নেয় এবং তার দেওয়া বয়ান মোতাবেক পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের সংলগ্ণ স্থান তেকে যুবতির মোবাইল ফোন, কোমরের বেল্ট সহ তার ব্যবহারের সিম কার্ডটি ভাঙা অবস্থায় উদ্ধার করে৷ তদন্ত শেষে পেশায় স্বর্ণকমলের বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে৷ দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক রাজীব ভট্টাচার্য এই যুবককে আইপিসি’র ৩৭৬ ও ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আজ সন্ধ্যায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশে দণ্ডিত করে৷
2017-08-06
