আনোয়ারা ইস্যুতে এসএফআই নেত্রী ও চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের দাবী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মে৷৷ আনোয়ারা চৌধুরীর ময়না তদন্ত এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য দাবি

শনিবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ৷ নিজস্ব ছবি৷

জানিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷ শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে পরিষদের বক্তব্য, ক্রমাগত আন্দোলন না হলে আনোয়ারা মৃত্যু রহস্যের কিনারা হতো না৷ তাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা সত্বেও পুলিশ এবং চিকিৎসকের মদতে ঘটনাকে স্বাভাবিক মৃত্যুর রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে৷ পরিষদ এদিন দাবি জানিয়েছে, দোষী চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷ এদিন পরিষদের নেতা ভিকি প্রসাদ বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আনোয়ারা মৃত্যু রহস্যের উদঘাটনের আন্দোলন এসএফআই’র হুমকির মুখে পড়েছে৷ ময়না তদন্তের রিপোর্টে হত্যা সংক্রান্ত কোন কিছু পাওয়া না গেলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন এসএফআই রাজ্য সভানেত্রী নিলাঞ্জনা রায় সহ তাঁর সহযোগীরা৷ কিন্তু, এখন ময়না তদন্ত এবং ফরেন্সিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে আনোয়ারাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে৷ তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলন থামানোর জন্য পুলিশকে প্রভাবিত করার চেষ্টার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে সুয়োমুটো মামলা করার দাবি জানিয়েছে পরিষদ৷ পরিষদের আরো দাবি, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে৷ পাশাপাশি পরিষদ, ফরেন্সিক রিপোর্ট অনুযায়ী আনোয়ারা মৃত্যুর সাথে কারা করা জড়িত রয়েছে তাদের শীঘ্রই গ্রেপ্তার করতে হবে৷ শুধু তাই নয়, ফাস্ট ট্রেক কোর্টে এই মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করার দাবি জানিয়েছে পরিষদ৷
এদিন ভিকি প্রসাদ বলেন, লড়াই আন্দোলনের ফলেই আনোয়ারা চৌধুরী মৃত্যুর ঘটনায় তার মামাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ কিন্তু, আশ্চর্যের বিষয় হল, ময়না তদন্ত এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট আসতে ৩৪ দিন সময় লেগে গেছে৷ তাতে পরিস্কার, আন্দোলন না হত এবং আনোয়ারা মুসলীম সম্প্রদায়ের না হত তাহলে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হত৷
পরিষদের বক্তব্য, আনোয়ার মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হওয়ার পেছনে চিকিৎসকদের মুখ্য ভূমিকা রয়েছে৷ তাঁদের ভুল রিপোর্টের কারণেই আনোয়ার মৃত্যুর ৩৪ দিন পর তার মামাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ শুরুতেই যদি তার মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দেখানো না হত, তাহলে এতদিনে আরো অনেকে এই হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে জেলের ভিতরে থাকতেন৷ পরিষদের দোষী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জোরালো দাবি জানিয়েছে৷ তা নাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও পরিষদ হুমকি দিয়েছে৷