নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম/ শান্তিরবাজার, ২৭ জুন৷৷ পৃথক স্থানে দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা৷ এক যুবক এবং অরেকজন মহিলা ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর৷ দুটি ঘটনাতেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি পারিবারিক ঝামেলার জন্যই এই আত্মহত্যার ঘটনা৷
পারিবারিক ঝামেলাকে কেন্দ্র করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলো এক যুবক৷ মৃত যুবকের নাম মিঠু দত্ত৷ বয়স আনুমানিক ২৪৷ উল্লেখ্য প্রায় ১ বছর আগে বাইদ্যাদীঘি এলাকার মিঠু দত্তের সাথে সাত পাকে মিলিত হয় কলকলিয়া এলাকার দীপিকা দেবনাথের৷ অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো এবং বিয়ের প্রায় ১ মাস পর স্ত্রী দীপিকা দেবনাথ তার স্বামী মিঠুন দত্তের বাড়ি থেকে চলে যায় দীপিকা তার বাপের বাড়িতে৷ মৃত মিঠুর পরিবারের অভিযোগ মৃতের স্ত্রী বাবার বাড়ি যাবার পর থেকেই মিঠু দত্ত মানসিক অবসাদে ভুগছিল৷ এমনকি মৃত্যুর আগেও মিঠু তার স্ত্রী দীপিকাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক কাকতি মিনতি করেও কোনও সমাধান হয়নি,কিন্তু স্ত্রী দীপিকা তার শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসেনি৷ এদিকে রবিবার সাত সকালেই বাড়ির লোকেরা দেখতে পায় মিঠু তার ঘরে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে৷ পরবর্তী সময় বাড়ির লোকদের আর্তনাদ চিৎকারে আশপাশের লোকজন মিঠু দত্তের বাড়িতে ছুটে আসে৷
পরবর্তী সময় খবর যায় বিশালগড় থানায় এবং খবর পেয়ে বিশালগড় থানার পুলিশ ছুটে এসে মিঠু দত্তের ঝুলন্ত মৃত দেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে৷ অন্যদিকে মৃতের স্ত্রী দীপিকা দেবনাথের বক্তব্য বিয়ের পর থেকেই নাকি মিঠু নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বাড়িতে আসতো এবং স্ত্রী দীপিকা দেবনাথের সাথে ঝামেলা করতো ও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত৷ অন্যদিকে মৃত মিঠুর ময়নাতদন্তের পর তার মৃত দেহ পরিবারের হতে তুলে দেওয়া হয়৷ মিঠুর অকাল মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ এদিকে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷
ছেলের সাথে কথাকাটাকাটির ফলে আত্মহত্যার পথ বেছেনিলো এক মহিলা৷ ঘটনার বিবরনেজানাযায় শান্তির বাজার মহকুমরা অন্তর্গত দক্ষিন জোলাইবাড়ীর নারায়ন পাল পাড়ার বাসিন্দা গিতা বৈদ্যের ঝুলন্ত মৃতদেহ আজ সকালে বাড়ীর পাশ্ববর্তী এলাকায় এক রাবার বাগানে দেখতে পায় এলাকাবাসী৷ এই বিষয়ে উনার ছেলের সঙ্গে কথাবলে জানাযায় গতকাল বন্ধনের কিস্তি নিয়ে মা ও ছেলের সাথে কথা কাটাকাটিহয়৷
এরইমধ্যে গিতা বৈদ্য উনার বাপের বাড়ীতে যাবে বলে বারীথেকে বেরহয়৷ কিন্তু আজ সকালবেলা রাবারগাছ কাটতেগিয়ে বাড়ীর পাশ্ববর্তী এলাকায় এক রাবার বাগানে গিতা বৈদ্যের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী৷ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে জানানোহয় জোলাইবাড়ী ফাঁড়ী থানায়৷ ঘটনার খবরপেয়ে ফাঁড়ী থানার আরক্ষা দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঝুলন্ত দেহ গাছথেকে নামিয়ে মনয়া তদন্তের জন্য জোলাইবাড়ী সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে৷ ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়াহয়৷ গিতা বৈদ্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সমগ্র এলাকাজুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷

