রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা বেড়েছে, জানালেন আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ মে৷৷ ত্রিপুরায় মহিলাদের নিরাপত্তা বেড়েছে৷ সাথে বেড়েছে আইনের শাসন৷ তবে, রামরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমনটা বলার অবকাশ এখনও হয়নি ঠিকই, কিন্তু সেই দিশায় আমরা এগিয়ে চলেছি৷ আজ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় আইনের শাসন নেই বলে বিরোধীদের উত্থাপিত সমালোচনার জবাবে দৃঢ়তার সাথে এ-কথা বলেন আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ তাঁর দাবি, লোকবল নেই, তাতে কোনও রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করতে ব্যর্থ হলে তার দায় সরকার নেবে না৷ কারণ, তাদের রাজনৈতিক সভায় লোক জড়ো করার দায়িত্ব আমরা নিতে পারব না৷


এদিন তিনি বছর ভিত্তিক অপরাধের হিসাব তুলে ধরে দাবি করেছেন, বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের আমলেই ত্রিপুরায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, মহিলাদের উপর অপরাধে ২০১৭ সালে ৯৭২টি, ২০২০ সালে ৮৭৩টি এবং ২০২১ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬৫টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় বর্তমানে মহিলাদের নিরাপত্তা বেড়েছে৷
এদিন তিনি আরও দাবি করেন, অন্যান্য অপরাধেও বছর ভিত্তিক হিসাবে সাফ দেখা যাচ্ছে, বর্তমান সরকারের জমানায় হার অনেকটা কমেছে৷ তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ১৩৮৫টি, ২০২০ সালে ১১১৫টি এবং ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৮৩৭টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় বিরোধীরা সভা-সমাবেশ করতে পারছেন না এমন অভিযোগের সরকারি নথির সাথে কোনও মিল খুঁজে পাচ্ছি না৷


তাঁর কথায়, বিজেপি ২০১৮ সালে ১০৩৯টি, ২০১৯ সালে ১৪৭৬টি, ২০২০ সালে ২৫৪টি এবং ১৫ মে ২০২১ পর্যন্ত ৭৪১টি সভা করেছে বলে রেকর্ড হয়েছে৷ অন্যদিকে, সিপিএম ২০১৮ সালে ৭১৬টি, ২০১৯ সালে ৬১৫টি, ২০২০ সালে ২২১টি এবং ১৫ মে ২০২১ পর্যন্ত ৫৫৯টি সভা করেছে বলে রেকর্ড রয়েছে৷ তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, সিপিএম-এর সভায় মানুষ আসছেন না৷ তার দায় ত্রিপুরা সরকার নেবে না৷ তাঁর সাফ কথা, ত্রিপুরায় রামরাজ্য এখনও প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি৷ তবে, সেই দিশায় আমরা এগিয়ে চলেছি৷


তিনি এদিন উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, সিপিএম-এর জমানায় বিধায়ক খুন হয়েছেন৷ অথচ বিচার পাওয়া যায়নি৷ এখন আমরা সেই মামলার পুনরায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছি৷ তিনি আইপিএফটি-র বিধায়ক তথা রাজস্ব মন্ত্রী এনসি দেববর্মা-র উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন৷ সাথে যোগ করেন, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে৷ তাতে স্পষ্ট, পুলিশ নিষ্ক্রিয় নয় এবং সমস্ত ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে পরিচালনা করে চলেছে৷