বিয়ের ৭ দিনেই স্বামীর সংসার ছেড়ে আসা নাবালিকার জায়গা হল হোমে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মে৷৷ ভালোবেসে বিয়ে করে নাবালক স্বামীর সংসার থেকে পালিয়ে এসে নাবালিকার স্থান হল হোমে৷ ঘটনা উত্তর জেলার ধর্মনগর মহকুমায়৷অসহায় নাবালিকাকে হোমে পাঠালো চাইল্ড লাইন৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ঊনকোটি জেলার পেচারথাল এর পুরাতন শিব বাড়ি এলাকার এক চৌদ্দ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়ের পরিচয় হয় উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন প্রত্যেকরায় এলাকার এক নাবালক এর সাথে৷


জানা যায় প্রায় মাস দেড়েক আগে নাবালিকা মেয়েটি র সাথে নাবালক ছেলেটির ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে৷ সেই সম্পর্ক পরিণত হয় বৈবাহিক সম্পর্কে৷ শুরু হয় নাবালক নাবালিকার নতুন বৈবাহিক জীবন!কিন্তু বিয়ে হওয়ার সাত দিন অতিক্রান্ত হতে না হতেই শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার৷ নাবালিকা মেয়েটি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নাবালক স্বামীর ঘর থেকে অর্থাৎ প্রত্যেক রায় থেকে হেটে পালিয়ে আসে৷


প্রায় দশ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে আসার পর পরিশ্রান্ত হয়ে ধর্মনগর এর দীঘলবাগ এলাকায় আসার পর একটি দোকানের সামনে বসে পরে!অনেকটা সময় অতিক্রান্ত হবার পর এলাকার এক মহিলার নজরে পরে মেয়েটিকে৷ মেয়েটিকে দেখে উনার সন্দেহ হয়! খবর দেওয়া হয় ধর্মনগর মহিলা থানায়৷ পুলিশ নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ধর্মনগর মহিলা থানায়৷ মহিলা থানার কর্ত্যবরত ডিউটি অফিসার খবর দেন ধর্মনগর চাইল্ড লাইনে৷ চাইল্ড লাইনের তরফ থেকে নাবালিকা মেয়েটির বাড়ির লোকজনদের সাথে যোগাযোগ এর চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷ শেষ পর্যন্ত নাবালিকা মেয়েটিকে হোমে পাঠায় ধর্মনগর চাইল্ড লাইন৷অপ্রাপ্ত বয়সে ভালোবেসে বিয়ে করে যে চরম পরিণতি হয়েছে তা থেকে অন্যান্যদের শিক্ষা নেওয়া উচিত৷ সরকার ও প্রশাসন বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কোন কোন ক্ষেত্রে আইনের চোখে ধুলো দিয়ে এ ধরনের কাজকর্ম অব্যাহত রয়েছে৷