ডিওয়াইএফআই সমর্থক আক্রান্ত কৈলাসহরে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ মে৷৷ বৃহস্পতিবার ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের সিঙ্গির বিল এলাকায় ডিওয়াইএফআইয়ের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে৷ তাকে কান ধরে উঠবস করানো হয়৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷
সিঙ্গিরবিল গ্রামের উপ প্রধানের নেতৃত্বে বিজেপি দলের কর্মীরা বেধড়ক মারধোর করে ডিওয়াইএফআই কর্মী প্রসন্ন দাসকে৷ শুধু মারধরই নয়, প্রসন্ন দাসকে কান ধরিয়ে উঠ বস করানো হয়, মাথার টুপি খুলে প্রাকৃতিক কাজ করায়, মুখে জয় শ্রীরাম ধবনি দিতে বাধ্য করা হয়৷ কোমড়ের বেল্ট দিয়ে বিশ্রীভাবে শরীরে আঘাত করা হয়৷ পাশাপাশি মাঠিতে ফেলে কিল ঘুসি লাথি দেয়৷ গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডিওয়াইএফআই কর্মী৷ ঘটনা কৈলাসহরের ফুলতলী গ্রামে৷ এলাকায় তীব্র আতংক বিরাজ করছে৷ পুলিশকে ঘটনা জানানোর পরও পুলিশ সময় মতো যায় নি৷


ঘটনার প্রায় চার ঘন্টা পর কৈলাসহর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়৷ উল্লেখ্য, পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী কৈলাসহরের ফুলতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ডিওয়াইএফআই -এর উদ্যোগে কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেনিটাইজেসন করে৷ সেনিটাইজেসন শেষ করে ডিওয়াইএফআই কর্মী প্রসন্ন দাস বাড়িতে ফেরার পথে ফুলতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মৃদুল সিনহার নেতৃত্বে গ্রামের বিজেপি দলের কর্মীরা প্রসন্ন দাসকে রাস্তায় আটকে বলে যে, মাথায় দলীয় টুপি খুলে রাস্তায় রাখতে৷ সেই টুপির উপর প্রাকৃতিক কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়৷ একথা শোনার পর প্রথমে প্রসন্ন দাস একাজ করতে রাজি না হওয়াতে তাকে বেধড়ক মারধর করে৷ প্রাণে বাঁচার তাগিেেদ প্রসন্ন এ কাজটি করার পর প্রসন্নকে নিজের দুই হাত দিয়ে নিজের দুই কান ধরিয়ে ৫০বার উঠ বস বসায় এবং জয় শ্রীরাম ধবনি দিতে বাধ্য করে৷ শুধু তাই নয়, এরপর প্রসন্নের কোমড়ের বেল্ট খুলে নিয়ে প্রসন্নকে বেধড়ক মারধর কেের৷


শেষ অব্দি প্রসন্নকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে বলে প্রসন্ন নিজেই জানান৷ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করে প্রসন্নকে কৈলাসহরের সিংগিরবিল এলাকায় অবস্থিত কনিকা মেমোরিয়াল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়৷ কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসন্নকে হাসপাতালে ভর্তি করেন৷ ঘটনার খবর পেয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকরা কনিকা মেমোরিয়াল হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ খবর নেন৷ অন্যান্যদের মধ্যে আসেন ডিওয়াইএফআই কৈলাসহর মহকুমা কমিটির সম্পাদক বিশু দাস, যুব নেতা পরিমল শীল, বিপুল সিনহা, সন্তোষ সিনহা সহ আরও অনেকে৷


সন্তোষ সিনহা সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই এই ঘটনার নিন্দা জানান এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত উপপ্রধান মৃদুল সিনহা সহ বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের দাবী জানান৷ তাছাড়া, ঘটনার খবর পেয়ে সময় মতো ঘটনাস্থলে কৈলাসহর থানার পুলিশ না আসায় পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন৷ কৈলাশহর এর সিঙ্গারবিল এলাকায় ডিওয়াইএফআই কর্মীকে আটক করে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *