নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ মে৷৷ সিপাহী জলা জেলার পুলিশ ও বিএসএফের জওয়ানরা গাজা বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে৷সিপাহী জলা জেলার বাদলাম কলম চওড়া এবং সম্রাট নতুনগ্রাম এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা ৭৮ লক্ষ ৯১ হাজার টাকার শুকনো মজুদ গাঁজা উদ্ধার করেছে৷জানা যায় সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে ওইসব গাজা মজুদ করে রেখেছিল গাজা পাচারকারীরা৷সুনিদৃষ্ট খবরের ভিত্তিতে বিএসএফ জওয়ানরা ওইসব এলাকায় অভিযান চালায়৷ অভিযান চালিয়ে যথারীতি সাফল্য পেয়েছে বিএসএফ৷ প্রথার করা গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷গাঁজা উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এই গাছামো যাত্রা কার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি বিএসএফ জওয়ানরা৷ এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে জালে তুলতে সক্ষম হয়নি পুলিশও৷
উল্লেখ্য রাজ্যের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে এবছরও ব্যাপকহারে গাঁজা চাষ হয়েছে৷গাঁজা চাষের নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও একাংশের মানুষ অতি মুনাফার লোভে আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে৷রাজ্যের মাটি গাঁজা চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী৷সে কারণেই সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মানুষজন গাঁজা চাষ করে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে৷ রাজ্যে উৎপাদিত গাজা সড়কপথ রেলপথ এমনকি আকাশ পথে পথে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হচ্ছে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ বিএসএফ এবং গোয়েন্দা বাহিনী এসব গাঁজা আটক করতে সক্ষম হচ্ছেন৷গত কয়েক বছর ধরেই গাঁজা চাষ বিরোধী অভিযান এবং গাঁজা পাচার রোধে প্রশাসন কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছে৷ কিন্তু তা সত্বেও গাঁজা চাষ বন্ধ করা কোনোভাবেই প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না৷ অভিযোগ গাঁজা চাষের তোদের সঙ্গে পুলিশ এবং শাসক দলের নেতাদের একাংশের যোগসাজ হয়েছে৷ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গাজা চাষি না ব্যাপকহারে গাঁজা চাষ করে চলেছে৷

