ব্রু শরণার্থীদের ত্রিপুরায় স্থায়ী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু

আগরতলা, ১৯ এপ্রিল (হি.স.)৷৷ ত্রিপুরায় আশ্রিত ব্রু শরণার্থীদের আজ (সোমবার) থেকে পুনর্বাসনে স্থায়ী সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ ধলাই জেলার আমবাসা এবং লংতরাই ভ্যালি মহকুমায় ৪২৬ পরিবারের ৪৯৩ জন সদস্য আপাতত অস্থায়ী ছাউনিতে থাকবেন৷ শীঘ্রই তাদের স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থাও করবে ত্রিপুরা সরকার৷ এ-কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷


মন্ত্রী বলেন, ব্রু শরণার্থীরা জনজাতি সম্প্রদায়ের, তাই তাঁদের পুনর্বাসনে দীর্ঘদিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, তাঁদের আগামী প্রজন্মের শিক্ষা, স্বাস্থ্য দিনে দিনে অবনতির দিকে যাচ্ছিল৷ তাই, তাঁদের স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার৷ তাঁদের ত্রিপুরায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা৪ হয়েছে, বলেন রতনলাল৷


শিক্ষা ও আইনমন্ত্রী জানান, আজ থেকে স্থায়ী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ কাঞ্চনপুর থেকে ব্রু শরণার্থীদের নিয়ে ধলাই জেলার আমবাসা এবং লংতরাইভ্যালি মহকুমায় পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, মোট ১৪টি বাসে ৪২৬ পরিবারের ৪৯৩ জন সদস্যকে আজ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার৷ তাঁর কথায়, আমবাসা মহকুমার হাদুকলাক পাড়ায় ২২০ পরিবারের ২৫২ জন এবং লংতরাইভ্যালি মহকুমার বঙ্গফা পাড়ায় ২০৬ পরিবারের ২৪১ জন ব্রু শরণার্থীকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে৷


মন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ব্রু শরণার্থীরা নতুন করে বাঁচার অধিকার পেয়েছেন৷ তাঁরা যাতে অন্যান্যদের সাথে মিলেমিশে থাকেন এই আহ্বান জানান তিনি৷ প্রসঙ্গত, দুই দশকের অধিক সময় ধরে ব্রু শরণার্থী সমস্যা বহন করে চলেছে ত্রিপুরা৷ প্রায় ২৪ বছর আগে মিজোরামে জাতি দাঙ্গার শিকার হয়ে ব্রু জনজাতি অংশের মানুষ ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর এবং পানিসাগর মহকুমার বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নেন৷ তাঁদের মিজোরামে প্রত্যাবর্তনে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু প্রতিবার সেই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া ভেস্তে গিয়েছে৷ অবশেষে বিজেপি-আইপিএফটি সরকার ত্রিপুরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাঁদের স্থায়ী সমাধান হয়েছে৷