ঢাকা, ১৭ এপ্রিল (হি.স.) : করোনায় মারা গেলেন প্রখ্যাত বাংলাদেশি অভিনেত্রী সারা বেগম কবরীর। ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। আবার দেশের সাংসদও ছিলেন ৭১ বছরের অভিনেত্রী।
জানা গিয়েছে, কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন বেগম কবরীর। করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসার দু’দিন পর অর্থাৎ গত ৭ এপ্রিল তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু সেদিন আইসিইউতে বেড পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, ৮ এপ্রিল দুপুরে ঢাকার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী।
আগের নাম ছিল মীনা পাল। পরে লেখক সৈয়দ শামসুল হকের পরামর্শে নাম পালটে রাখেন সারা বেগম কবরী। ছয়ের দশকে সিনেমার জগতে প্রবেশ করেন অভিনেত্রী। পরিচালক সুভাষ দত্তর ‘সুতরাং’ ছবিতে যখন অভিনয় করেছিলেন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩। তারপর একাধিক বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবির নায়িকা ছিলেন। ১৯৭৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সারেং বৌ’ সিনেমার জন্য বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কার পান। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে ভোটে জিতে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ ৪ কেন্দ্রের সাংসদ হয়েছিলেন। পরে রাজনীতি ছেড়ে অভিনয় জগতে ফিরেছিলেন। ছবি পরিচালনাও করেছিলেন। কিন্তু করোনার মারণ ছোবল থেকে রেহাই পেলেন না। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকাহত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র মহল ও সিনে অনুরাগীরা।
2021-04-17