নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ মার্চ৷৷ আজ রাজ্য বিধানসভায় তিনটি বিল গৃহীত হয়েছে৷ গৃহীত ৩টি বিলের মধ্যে রয়েছে ‘দি ত্রিপুরা মিউনিসিপল (সেভেনথ এ্যামেণ্ডমেন্ট) বিল, ২০২১ (দি ত্রিপুরা বিল নং ১ অফ ২০২১) এবং ‘দি ত্রিপুরা রিকোভারি অব ড্যামেজ টু পাব্লিক এণ্ড প্রাইভেট প্রোপার্টি বিল, ২০২১ (দি ত্রিপুরা বিল নং ২ অব ২০২১)বিল৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ এই দুটি বিল সভায় পেশ করেন৷ পরে বিল দুটি ধনি ভোটে গৃহীত হয়৷ তাছাড়া ‘দি ত্রিপুরা এক্সাইজ (ফোর্থ এ্যামেণ্ডমেন্ট) বিল, ২০২১ (দি ত্রিপুরা বিল নং ৩ অব ২০২১)বিলটিও আজ বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা উত্থাপিত এই বিলটি সভায় ধনি ভোটে গৃহীত হয়৷
এদিন বিধানসভায় ‘দি ত্রিপুরা রিকোভারি অব ড্যামেজ টু পাব্লিক এণ্ড প্রাইভেট প্রোপার্টি বিল, ২০২১ (দি ত্রিপুরা বিল নং ২ অব ২০২১)বিল নিয়ে বিধায়ক বাদল চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, এই বিলের ফলে রাজ্যে বিরোধী দলগুলির কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে৷ কারণ, বিলে বলা হয়েছে যদি কোন ধরনের আন্দোলন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে এবং তাতে সরকারী কিংবা বেসরকারী সম্পত্তি নষ্ট হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে এই ব্যাপারে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে আন্দোলনকারী সংস্থা, সংগঠন, দল কিংবা ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে৷ এজন্য সংশ্লিষ্ট থানার ওসি তদন্ত করবে এবং নির্দিষ্ট একটি ট্রাইব্যুনালে রিপোর্ট জমা দেবে৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে৷ বিলে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কিংবা সংস্থাকে ঘটনার তিন মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে৷ এদিন, বিরোধী বেঞ্চের সদস্যরা এই বিলের তীব্র বিরোধীতা করেছে৷ তারপরও বিলটি বিধানসভায় ধনি ভোটে গৃহীত হয়েছে৷