গুয়াহাটি, ১৭ মার্চ (হি.স.) : ২০১৬ সালের অসম বিধানসভার ১২৬টি কেন্দ্রের নোটা এবং ভোটের ব্যবধান নিয়ে পর্যালোচনা করছে গণতান্ত্রিক সংস্কার সংস্থা (এডিআর) এবং অসম নির্বাচন পর্যবেক্ষণ (এইডব্লিউ)। তাঁদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে অসম বিধানসভা নির্বাচনে সর্বমোট ১,৬৯,১৯,৩৬৪ ভোটের মধ্যে ১,৮৯,০৮৫ (১.১২ শতাংশ) ভোট নোটা-য় পড়েছে। তার চেয়েও বড় কথা, ৯-টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজয়ের ব্যবধানের চেয়ে নোটায় বেশি ভোট পড়েছিল। অন্তত ১,৮৯,০৮৫ মানুষ যে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে তারই বহিঃপ্রকাশ এবং এই তথ্যটি তুলে ধরাটাই রিপোর্ট প্রকাশের উদ্দেশ্য।
নিজের কেন্দ্রে দাঁড়ানো কোনও একজন প্রার্থীকেও যদি কেউ তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না বলে মনে করেন তবে সেই আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ভোটারদের সমস্ত প্রার্থীকেই নাকচ করার অধিকার দেয় নোটা। ভোটারদের কাছে সম্পূর্ণরূপে বর্জিত হওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে সচেতন করতেই এই ব্যবস্থা। প্রার্থীদের পছন্দ না হলে কাউকে জোর করে ভোট না দিয়ে সবাইকে বর্জন করার অধিকার দিতে ২০১৩ সালে নোটার বোতাম টেপার সযোগ করে দেয় ভারতীয় নির্বাচন কমিশন।
বিগত বিধানসভা নির্বাচনে নোটা-য় ভোট দেওয়ার জন্যে প্রাণেশ্বর বসুমতারি (কংগ্রেস), মিশনরঞ্জন দাস (বিজেপি), বিনোদ গোয়ালা (অগপ), সুরভি রাজকোঁওর (বিজেপি), সুশান্ত বরগোহাঁইন (কংগ্রেস), চন্দনকুমার সরকার (কংগ্রেস), মিসবাহুল ইসলাম লস্কর (কংগ্রেস) ও দিলীপ মরান (বিজেপি)-কে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বিজিতদের মধ্যে তিনজন এমন রয়েছেন, যাঁরা ৫০০ ভোটেরও কম ব্যবধানে জিতেছিলেন এবং দুই বিজেতা ৫০ শতাংশের বেশি ভোটে জিতেছিলেন।
২০২১-এর অসম বিধানসভার ১২৬ জন বিধায়ক নির্বাচন করতে আগামী ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল এবং ৬ এপ্রিল তিন দফায় নির্বাচন হবে।