নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ মার্চ৷৷ বহু জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন স্বশাসিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে একলা চলো নীতিতে এগুচ্ছে সরকারের ছোট শরিক আই পি এফ টি৷ রবিবার সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে ১৮ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন দলের সভাপতি নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা৷ সংবাদ সম্মেলনে আইপিএফটি প্রধান ও ত্রিপুরার রাজস্বমন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা বলেন, যে আইপিএফটির রাজ্য নির্বাচন কমিটি ১৮ জন প্রার্থীর প্রথম তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
আইপিএফটি এবং বিজেপি উভয়ই জোট সরকারের অংশীদার৷ তবে, ১৮ প্রার্থীর প্রথম তালিকা ঘোষণার সিদ্ধান্তে গেরুয়া দলকে হতবাক করে দিয়েছে৷ এন সি দেববর্মা জানিয়েছেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বিভিন্ন দফায় বৈঠক করে প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছি৷ কমিটি দলীয় কার্যালয়ে প্রাপ্ত প্রতিটি বায়োডাটা এবং আবেদন পর্যালোচনা করে নামগুলি তালিকাভুক্ত করেছি৷
তিনি আরও বলেন যে ১৮ জনের মধ্যে দু’জন মহিলা প্রার্থী এবং ১৪ জন নতুন মুখ দল বেছে নিয়েছে৷ এর আগে জেলা পরিষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একমাত্র প্রার্থী হলেন কৃষ্ণ কান্ত জামাতিয়া, যিনি এই বছর কিল্লা-বাগমা আসনে প্রতিনিধিত্ব করবেন৷
জোটের শরিক বিজেপির সাথে আসন ভাগাভাগির কথা বলতে গিয়ে সাধারণ সম্পাদক তছা উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জামাতিয়া বলেন, দলগুলোর মধ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকবে৷ আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার জন্য দরজা উন্মুক্ত রয়েছে৷ যে কেউ আমাদের দাবির সাথে একমত হলে, আমরা এডিসি নির্বাচনে সেই দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব৷
তবে, তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে নাম ঘোষণা করা হয়েছে তা কোনও পরিস্থিতিতে প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনা থাকবে না৷
তালিকায় মেবার কুমার জামাতিয়ার স্ত্রী গীতা দেববর্মার নামও রয়েছে৷ যিনি সম্প্রতি ত্রিপুরা সরকারের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন৷
এদিকে, বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্জি বলেছেন, একা প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করা এবং জোটের শরিকের সাথে এখনও আলোচনায় থাকার দাবি করার কোনও মানে হয় না৷ তিনি আরও বলেন এই প্রথমবার নয় যে আইপিএফটি এককভাবে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর আগে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আইপিএফটি একাই নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ আমরা এখনও জনগণের কল্যাণে কথা বলতে ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত আছি, জানালেন নেবন্দু ভট্টাাচার্জি৷
প্রসঙ্গত, টিটিএডিসির ত্রিশটি আসন রয়েছে৷ এর মধ্যে ২টি আসনের সদস্য রাজ্যপাল দ্বারা মনোনিত৷ বাকি ২৮ টি আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে৷ আগামী চার এপ্রিল ভোট গ্রহণ এবং আট এপ্রিল ভোট গণনা৷