আগরতলা, ৭ মার্চ (হি. স.)৷৷ ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনের তিন বছর পূর্তি-তে রাজ্যাবাসীর জন্য উপহারের ডালি নিয়ে হাজির হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ওইদিন তিনি ভিডিও কনফারেন্স-এ সাব্রুমে মৈত্রী সেতু-র উদ্বোধন, ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট(আইসিপি) ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং নতুন জাতীয় সড়ক সহ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন৷ প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক প্রেস বিবৃতিতে এই সংবাদ জানিয়েছে৷
প্রেস বিবৃতিতে এ-বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৯ মার্চ দুপুর ১২ টায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করবেন৷ প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানের সময় ত্রিপুরায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন৷
মৈত্রী সেতু ফেনী নদীর উপরে নির্মিত হয়েছে৷ ওই ফেনী নদী ত্রিপুরা রাজ্যে ভারতীয় সীমানা সহর সাব্রুম এবং বাংলাদেশের মাঝে প্রবাহিত হচ্ছে৷ মৈত্রী সেতু নামটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক৷ ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১.৯ কিমি দীর্ঘ ওই সেতুটি নির্মিত হয়েছে৷ সেতুটি ত্রিপুরার সাব্রুম এবং বাংলাদেশের রামগড়ের সাথে যুক্ত হবে৷ তাতে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জনগণের যাতায়াত এবং বাণিজ্যিক আদানপ্রদানে এক নতুন অধ্যায়ের রচনা হতে যাচ্ছে৷ এই সেতুটি উদ্বোধনের সাথে সাথে সাব্রুম থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দুরত্বে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে৷
একইদিনে প্রধানমন্ত্রী সাব্রুমে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট নির্মাণে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন৷ এটি দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রীদের চলাচল সহজতর করতে, উত্তর-পূর্ব রাজ্যের পণ্যগুলির জন্য নতুন বাজারের সুযোগ সরবরাহ এবং ভারত এবং বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের নির্বিঘ্ন চলাচলে সহায়তা করবে৷ প্রকল্পটি ভারতের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি নির্মাণ করবে৷ প্রায় ২৩২ কোটি ওই আইসিপি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে৷
প্রধানমন্ত্রী উনকোটি জেলা সদর কৈলাসহরে সাথে খোয়াই জেলা সদরকে সংযুক্ত করে এনএইচ ২০৮-র ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন৷ ওই সড়কটি এনএইচ ৪৪-এর বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করবে৷ ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এনএইচ-২০৮ প্রকল্পটি এনএইচআইডিসিএল নির্মাণ করছে৷ তাতে, ১০৭৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে৷ এদিকে, একইদিনে প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনা (নগর)-র আওতায় নির্মিত ৪০৯৭৮টি বাড়ির উদ্বোধন করবেন তিনি৷ ওই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮১৩ কোটি টাকা৷ এছাড়া তিনি আগরতলা স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় নির্মিত ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্েন্টাল সেন্টারও উদ্বোধন করবেন৷
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী ওইদিন ওল্ড মোটর স্ট্যান্ডে মাল্টি লেভেল কার পার্কিং ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স উন্নয়নের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন৷ এটি প্রায় ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে তৈরি করা হবে৷ তিনি লিচুবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তাটি দুই লেন থেকে চার লেন পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন৷ আগরতলা স্মার্ট সিটি মিশন প্রায় ৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে৷
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী রাজ্য মহাসড়ক এবং অন্যান্য জেলা সড়কগুলিরও উদ্বোধন করবেন৷ রাজ্য সরকার ৬৩.৭৫ টাকার ওই সড়ক নির্মাণে ব্যয় করেছে৷ তাতে, ত্রিপুরার মানুষকে সমস্ত আবহাওয়ায় সংযোগ প্রদান করবে৷