প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে স্ব-সহায়ক দলগুলি আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে : ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ মার্চ (হি. স.) : ত্রিপুরায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখানো পথেই স্ব-সহায়ক দলগুলি আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে। তাতে, রোজগার বাড়ছে, সাথে কর্মসংস্থানও হচ্ছে। আজ ঊনকোটি জেলা সফরে গিয়ে এ-কথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ কুমারঘাট মহকুমার গকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী স্ব-সহায়ক দলের তৈরী মাশরুমের আচার তৈরীর ইউনিটের উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, এই স্ব-সহায়ক দলের কর্ণধার মিঠু রাণী চক্রবর্তী এস বি আই রুরাল সেলফ এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং ইন্সটিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে মাসরুম চাষ শুরু করেন। বর্তমানে মিঠুরাণী চক্রবর্তী দৈনিক ৬৫/৮০ কেজি মাশরুম উৎপাদন করেন। প্রতি কেজি ১৫০ টাকা দরে তিনি এই মাশরুম বিক্রি করছেন। মাশরুম বিক্রি করে এখন তার মাসিক আয় আনুমানিক ৩৫ হাজার টাকা। মাশরুমের আচার ইউনিট উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব মিঠুরাণী চক্রবর্তীর দু’টি মাশরুম প্রসেসিং ইউনিট ঘুরে দেখেন। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, মিঠুরাণী চক্রবর্তীদের তৈরী স্ব-সহায়ক দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখানো পথে এখন আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে। তারা নিজেরা যেমন রোজগার করছেন তেমনি অন্যদেরও রোজগারের পথ খুলে দিচ্ছেন।

গকুলনগরে মাশরুমের আচার তৈরীর ইউনিটের উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী ফটিকরায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব পাঁচ জনকে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার স্মার্ট কার্ড প্রদান করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জেলাশাসক তাপস রায়, পুলিশ সুপার রতিরঞ্জন দেবনাথ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. রাধা দেববর্মা, সি এম ও ডা শরদিন্দু রিয়াং প্রমুখ।

আজ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ঊনকোটি জেলা সফরে এসে বেলা দেড়টা নাগাদ পেঁচারডহর বিলাসপুর জলাধার পরিদর্শন করেন। তার সাথে ছিলেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জেলাশাসক তাপস রায়, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ড. চন্দন সাহা সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ। জেলাশাসক শ্রীরায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে এই জলাধারের উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত করতে গিয়ে বলেন, জলাধারের উন্নয়নে মৎস্য, প্রাণী সম্পদ বিকাশ, কৃষি, উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ সহ পর্যটন দপ্তরের সমন্বয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরী করে রাজ্য সরকার কাছে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *