নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/কঞ্চনপুর, ২৫ সেপ্ঢেম্বর৷৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুড়াইবাড়ি থানা এলাকার বাগান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রেমতলা এলাকায় এক গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার৷ নির্যাতিত গৃহবধূ সুপর্ণা মালাকার অবশেষে বাপের বাড়ীতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন৷
বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ চুড়াইবাড়ি থানায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন৷ অভিযুক্ত স্বামীর নাম অপু মালাকার৷ সংবাদ সূত্রে জানা গেছে প্রায় এক বছর আগে সামাজিক প্রথায় তাদের বিয়ে হয়েছিল৷ বিয়েতে পাত্র পক্ষের দাবি অনুযায়ী নগদ টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তাতেও খাই মিটেনি পাত্র পক্ষের৷
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই গৃহবধূ অপর্ণা মালাকারের ওপর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন৷ স্বামী অপ মালাকার আখন্ড নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে মারধর করে বলে অভিযোগ৷ এসব বিষয়ে একাধিকবার সালিশি সভা হয়েছে৷ কিন্তু পরবর্তীকালে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে৷ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই গৃহবধূ মায়ের কাছে আশ্রয় নিয়েছে৷ নির্যাতিত গৃহবধূ জানায় তার বাবা অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন৷
মা ক্যান্সারে আক্রান্ত৷ তাদের সংসারে আর কোনো ভাইবোন নেই৷ দিদিমাকে নিয়ে মা বাড়িতে কোনোক্রমে বেঁচে আছেন৷ অসহায় মায়ের কাছে শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নিতে হয়েছে নির্যাতিত গৃহবধূ সুপর্ণা মালাকারকে৷ চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ এ ব্যাপারে মামলা গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ নেই৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে৷ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ক্রমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে৷
এদিকে, কাঞ্চনপুরে এক মহিলাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযুক্তরা হল জয়ন্তী রিয়াং, দেবেন্দ্র রিয়াং, বলেন্দ্র রিয়াং, ধীরেন্দ্র রিয়াং৷

