নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বাধারঘাট মাতৃ পল্লী এলাকা থেকে উদ্ধার এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ৷ মৃত যুবকের নাম সুমিত দাস৷ পেশায় সে একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিল৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় এইদিন দুপুরে এলাকার লোকজন এলাকারই একটি বাঁশের ঝারে সুমিত দাসের মৃতদেহ দেখতে পায়৷ সাথে সাথে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এডি নগর থানার পুলিশ৷ পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়৷ এক পুলিশ অফিসার জানান মৃত সুমিত দাস পেশায় মাছ ব্যবসায়ী ছিল৷ এইদিন সকালে বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে বের হয়৷ সকাল ১১ টা নাগাদ তাঁকে এই বাঁশের ঝারের পাশে দেখতে পায় এলাকার লোকজন৷ ধারনা করা হচ্ছে তারপরই সে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে৷ তবে কেন সে আত্মহত্যা করেছে, তা স্পষ্ট নয়৷
এদিকে, রবিবার দুপুরে রাজধানী সংলগ্ণ বড়জলা সুকল থেকে এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ মৃতব্যক্তির নাম সোনাই দাস৷ জানা গেছে দুর্জয়নগর এক বাড়িতে ভারা থাকত তিনি৷ আই জি এম হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন৷ রবিবার দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানিয়বাসিন্দাদের নজরে আসে বিষয়টি৷ তারা খবর দেয় পুলিশে৷ পুলীশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়৷ মৃত ব্যক্তির আত্মীয় জানায় এদিন সকালে তিনি খবর পান৷ সেই অনুযায়ী ছেলেকে পাঠান মৃতদেহ দেখবার জন্য৷ এরপর ছেলের কাছ থেকে শুনে ছুটে আসেন তিনি৷ গত ১ সেপ্ঢেম্বর থেকে নিখোজ ছিল সোনাই দাস৷
এদিন তারা জানতে পারে রাতে এক অক্সিডেন্টের রোগীকে নিয়ে আই জি এম গিয়েছিল সোনাই৷ এরপর থেকে তাঁর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ মাঝে রামনগর ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়৷ পুলীশ জানায় স্থানীয় বাসিন্দা ও এক শিক্ষকের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা এসেছেন৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ ফোন যাচাই করে দেখা গেছে ১ সেপ্ঢেম্বরের পর আর কোন ফোন করেনি সে৷ নিখোঁজ ডায়েরী অনুযায়ী পুলীশ মৃতদেহ সনাক্ত করেছে৷ সুকলের উপর তলায় পরিত্যক্ত ঘরের দরজায় ব্যাল্ট ঝোলানো অবস্থায় ছিল৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্ম হত্যা করেছে সোনাই দাস৷ তাঁর পরেও সঠিক বিষয় ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ সুকলের পেছনের দিক দিয়ে প্রবেশ করা যায় বলে জানায় পুলিশ৷ এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে৷

