রোসনার মৃত্যু মামলায় নয়া মোড়, বালিশ চাপায় খুনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ জুলাই৷৷ গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়৷ অবশেষে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত না হওয়ায় আগরতলাতে ময়না তদন্ত করে মৃতদেহ নিয়ে গতকাল রাতে মৃতার পরিজনরা কদমতলা থানায় আসেন৷ বর্তমানে তারা উপযুক্ত বিচারের আশায় প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে৷


ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১লা জুলাই ইচাই লালছড়াস্থিত শ্বশুরবাড়িতে রুসনা বেগম(২৩) নামে এক তরুণ গৃহবধূ অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে৷ সঙ্গে সঙ্গে তার স্বামী চেরাগ মিয়া ও তার বড় ভাই জয়নাল আবেদীন ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় মৃত গৃহবধূকে৷ খবর পেয়ে মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনেরা হাসপাতালে ছুটে যান৷


সেখানে মৃত অবস্থায় রুসনাকে দেখেই বধূ হত্যার অভিযোগ তুলেন স্বামী ও তার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে৷ আর এখানে গৃহবধূ রুসনা খুন হওয়ার পেছনে মূল কারণ ছিল তার স্বামী বর্তমানে পাঁচ সন্তানের এক জননীকে বিবাহ করার জন্য কোর্ট মেরেজ করেন৷ আর তাতেই চরম অশান্তির দানা বাঁধে তাদের সংসারে৷ তাই সঙ্গে সঙ্গে মৃতার বাড়ির লোকজনরা কদমতলা থানায় এসে ওই দুই ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেন৷ কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার মামলা হাতে পেয়েই অভিযুক্ত দুজনকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে আসেন৷ অবশ্য পরদিনই দুই আসামিকে আদালতে চারদিনের রিমান্ড চেয়ে থানায় নিয়ে আসেন৷ বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে৷


এদিকে, গতকাল রাতে মৃতদেহ ও ময়নাতদন্তের পর নিয়ে মৃতার পরিজনরা আগরতলা থেকে কদমতলা থানায় এসে পৌঁছান৷ গতকাল গুরুতর অভিযোগ তুলেন মৃতার কাকা আব্দুল হক৷ তিনি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনেকটা তাদের অনুকূলে বলে জানান৷ তাছাড়া তারা আগেই অভিযোগ তুলেন বালিশ চাপা দিয়ে তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে৷ তাই তারা প্রশাসনের কাছে আসামি দুজনের ফাঁসির আবেদন জানান৷