নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ এপ্রিল৷৷ করোনা মোকাবিলায় নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার থেকে আগরতলার সমস্ত বাজারে স্ক্রিনিং করার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ পর্যায়ক্রমে সমস্ত মহকুমায় বাজারে স্ক্রিনিং-র ব্যবস্থা করা হবে৷
আজ এ-বিষয়ে সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহা বলেন, করোনা মোকাবিলায় ত্রিপুরা অনেকটা ভাল পরিস্থিতিতে রয়েছে৷ কিন্ত, তাতে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না৷ তাই, প্রতিনিয়ত নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছেঊ তাঁর কথায়, বাজারে এখন মাস্ক পরে আসা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ তাছাড়া, প্রকাশ্যে থুতু ফেলা কিংবা প্রস্রাব করলে জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে৷ তাঁর সাফ কথা, করোনা মোকাবিলায় সকলকেই দায়িত্ব নিতে হবে৷ নাগরিক সমাজ-কেও দায়িত্ববান হতে হবে৷ তিনি বলেন, এখন বাজারে ক্রেতারা অনেকটাই সুশৃঙ্খল আচরণ করছেন৷ নিয়ম মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে দাড়াচ্ছেন৷
এদিন তিনি বলেন, আগরতলায় প্রধান বাজারগুলিতে স্ক্রিনিং-র ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ভ্রাম্যমান গাড়ি সন্দেহভাজনের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এ-বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক বলেন, থার্মাল স্কেনার দিয়ে বাজারে উপস্থিত ক্রেতাদের স্ক্রিনিং করা হবে৷ তাঁর বক্তব্য, একজন ক্রেতার জ্বর হয়েছে, থার্মাল স্কেনার-এ তা সহজেই ধরা পড়বে৷ তখন তার অন্য কোন উপসর্গ যেমন সর্দি কিংবা কাশি থাকলে সেই তথ্য সংগ্রহ করা হবে৷ করোনা সংক্রমনের উপসর্গ মিললে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হবে৷
ওই আধিকারিকের কথায়, আপাতত আগরতলায় প্রধান বাজারগুলিতে আই স্ক্রিনিং-র ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ পর্যায়ক্রমে ত্রিপুরার সমস্ত মহকুমা বাজারে ওই ব্যবস্থা করা হবে৷ করোনা মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ খুবই সময় উপযোগী বলে দাবি করেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্তের সন্ধানে নমুনা সংগ্রহে গতকাল থেকে আগরতলায় ভ্রাম্যমান গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে৷ তাতে, অনেক সুবিধা রয়েছে৷প্রথমত, ওই গাড়িতে করে নমুনা সংগ্রহে পিপিই কিট কম ব্যবহৃত হচ্ছে৷ তাছাড়া, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ওই নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে৷ এখন থেকে সন্দেহভাজনদের দরজায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থায় ওই আয়োজন করা হয়েছে৷
ভ্রাম্যমান গাড়িতে নমুনা সংগ্রহে পিপিই কম ব্যবহৃত হচ্ছে৷ কারণ, শুধু যে প্রক্রিয়া দেখিয়ে দিচ্ছেন এবং তদারকি করছেন একমাত্র তিনি পিপিই পড়েছেন৷ নমুনা সংগ্রহের জন্য কোন পিপিই পড়তে হচ্ছে না৷ তিনি শুধু গাড়ির ভেতর থেকে অত্যাধিক সুরক্ষা বেষ্টনির মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করছেন৷