নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ এপ্রিল ৷৷ শনিবার সকালে সিধাই মোহনপুরের হরিণাখলা গ্রামে লঙ্কাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে৷ এক নাবালিকাকে প্রেম নিবেদনে ব্যর্থ হওয়ায় শালিশিসভায় রক্তারক্তি কাণ্ড সংগঠিত হয়েছে৷ শালিশিসভায় অভিযুক্তদের ছুড়ির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় জিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে৷ অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷
মোহনপুরের হরিণাখলা গ্রামে নিয়তি দাসের বাড়িতে একটি ঘরে বহিরাগত দুই যুবক এবং অপর একটি ঘরে একটি পরিবার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল৷ বহিরাগত দুই যুবক নিজেদেরকে রাহুল এবং কৃষ্ণ নামে পরিচয় দিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকত৷ পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া নাবালিকা কন্যাকে তারা বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রেম নিবেদন ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে৷ নাবালিকাটি বিষয়টি তার বাবাকে জানালে পরিস্থিতি বেগতিক আকার ধারণ করে৷ নাবালিকার বাবা বিষয়টি হরিণাখলা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য ও মাতববরদের জানান৷ বিষয়টি নিয়ে নিয়তি দাসের বাড়িতে শনিবার সকালে শালিশিসভা বসে৷ ওই শালিশিসভাতেই অভিযুক্ত দুই যুবক উত্তেজিত হয়ে ছুড়ি দিয়ে পর পর আঘাত করতে থাকে৷ তাতে মনোরঞ্জন সরকার, মিঠুন সরকার এবং সুমন নমঃ গুরুতরভাবে আহত হন৷
তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে দু’জনকে জিবিতে স্থানান্তর করা হয়৷ উন্মত্ত দুই যুবকের হাত থেকে কোনক্রমে ছুড়িটি উদ্ধার করে তাদেরকে আটকে রাখা হয়৷ খবর পাঠানো হয় সিধাই থানায়৷ খবর পেয়ে সিধাই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে৷ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুড়ি এবং দুই অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই যুবক তাদের আসল পরিচয় জানায়৷ তাদের দু’জনের বাড়ি ধর্মনগরে৷ তাদের একজনের নাম মহিম উদ্দিন ও অপরজনের নাম জাকির হোসেন৷ তারা মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত হয়েও নিজেদেরকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে এলাকার এক নাবালিকাকে বিয়ে করার ফাঁদ পেতেছিল৷ এটা অনেকটাই লাভ জেহাদের মতই ঘটনা৷
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোহনপুরের হরিণাখলা গ্রামে তীব্র ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে৷ মোহনপুরের হরিণাখলা গ্রামে প্রেম নিবেদনে ব্যর্থ হয়ে পাল্টা ফ্যাঁসাদে পড়ে শালিশি সভায় রক্তারক্তি কাণ্ড সংগঠিত করে দুই যুবক বর্তমানে সিধাই থানার পুলিশের হেপাজতে রয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ধারায় মামলা গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে৷