নগাঁও (অসম), ৭ এপ্রিল (হি.স.) : ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক অপপ্রচারের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে মধ্য অসমের নগাঁও জেলার অন্তর্গত ধিঙের এআইইউডিএফ বিধায়ক আমিনুল ইসলামকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং দিল্লির মরকজ নিজামউদ্দিনে তবলিগ-ই জামাত-কাণ্ডের পর সোশাল মিডিয়ায় লাগাতার বিতর্কিত পোস্ট করছিলেন আমিনুল। এগুলি আপত্তিকর ছিলই, কিন্তু তাঁর সর্বশেষ ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক এক অডিও ক্লিপ পুলিশের হস্তগত হলে সক্রিয় হয়ে ওঠে রাজ্য প্রশাসন।
অসম পুলিশের হাতে যে অডিও ক্লিপ এসেছে তাতে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সতর্ক করে বিধায়ক আমিনুল বলেছেন, ‘ডিটেনশন ক্যাম্প থেকেও ভয়ংকর কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। কোয়ারেন্টাইনের নামে ইঞ্জেকশন দিয়ে মারার পরিকল্পনা করছে সরকার।…’ তাই তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা না করতে তবলিগ-ই জামাত-ফেরত মুসলমানদের প্ৰতি আহ্বান জানাচ্ছিলেন। অডিওয় তিনি আরও বলেছেন, নিজামউদ্দিন থেকে আগত করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত জাগিরোডে তিন রোগীকে কোনও পরীক্ষা না করেই স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁদের কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত বলে ষোঘণা করেছে। এমন-কি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সুস্থ মুসলমানদের হয়রান করা হচ্ছে, ইঞ্জেকশন দিয়ে করোনা আক্রান্ত করা হয় বলেও অপপ্ৰচার চালাচ্ছিলেন সংখ্যালঘু এই নেতা। কেবল তা-ই নয়, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যারা গিয়েছেন তারা আর ঘুরে আসবেন না বলেও সহজ-সরল মুসলমান সমাজকে বিপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন বিধায়ক আমিনুল ইসলাম।
এদিকে অডিও ক্লিপ পুলিশের হাতে পৌঁছামাত্র সোমবার রাতে ধিঙে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় নগাঁও পুলিশ। রাতেই বাড়ি থেকে তাঁকে নগাঁওয়ে পুলিশ গেস্ট হাউসে নিয়ে আসা হয়। রাত দুটো পর্যন্ত বিধায়ক আমিনুল ইসলামকে জেরা করেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। অডিওয় তাঁর নিজের কণ্ঠস্বর, তা স্বীকার করার পর মঙ্গলবার ভোররাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নগাঁও সদর থানায় ৮৭৭/২০০২ নম্বরে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২০(বি), ১৫৩(এ), ১২৪(এ), ২৯৫(এ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।