নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ এপ্রিল৷৷ কালবৈশাখীর ঝড়ে বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ করোনা সংক্রান্ত জটিলতা হোক অথবা যে কোনও ধরনের সমস্যা৷ প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ যদি কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে শান্ত হয়ে যে মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে বসে থাকেন না, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের পাশে গিয়ে প্রমাণ দিলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী আজ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন এবং প্রশাসনিক যাবতীয় সাহায্য করার আশ্বাস প্রদান করলেন৷
শুক্রবার সন্ধ্যায় মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ত্রিপুরার পশ্চিম ও সিপাহিজলা জেলায়৷ রবার বাগান, কৃষি জমি এবং বাড়িঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এই খবর শুনে সকালেই মুখ্যমন্ত্রী ছুটে যান সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে৷ সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিজের চোখে দেখেন৷
মুখ্যমন্ত্রী গোলাঘাটি ও তার পার্শবর্তী অঞ্চল ঘুরে দেখেন৷ বিশেষ করে গ্রাম পাহাড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান তিনি৷ ঝড়-বৃষ্টিতে যে ক্ষতি হয়েছে তাদের মনের কথা শোনেন৷ মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ভরসা দিয়ে আসেন, যে কোনও দুযর্োগে তিনি পাশে থাকবেন৷ এদিন অনেকের হাতে সরকারি সাহায্যস্বরূপ চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷
পরে আগরতলায় এসে কালবৈশাখীর ঝড়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানান৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মূলত পশ্চিম ও সিপাহিজলা জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ১৭২টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তাদের প্রত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তিনদিনের মধ্যে ৫,২০০ টাকা করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ এছাড়া ৭০ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ মোট ১২৪টি পরিবারের এই ক্ষয়ক্ষতি মিটিয়ে দেওয়ার প্রশ্ণে সরকারের পক্ষ থেকে কানি প্রতি ১,১০০ টাকা করে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে তিনদিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷
তাঁর কথায়, সিপাহিজলা জেলায় ৭৩টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এর মধ্যে ৩৪টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তাদের ৯৫ হাজার ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে৷ তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই তাঁদের হাতে ৫,২০০ টাকা দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া ওই জেলায় ৩৯টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তাদের ৫ হাজার ২০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ তিন দিনের মধ্যে দেওয়া হবে, জানান মুখ্যমন্ত্রী৷