নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মার্চ৷৷ বামফ্রন্টের ভুলের জন্য এডহক শিক্ষকদের জীবনে অন্ধকার নেমে আসুক তা চায়না বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার৷ তাই তাঁদের জন্য সংবিধান মেনে আইনসঙ্গত উপায়ে বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চয় করবে রাজ্য সরকার৷ মঙ্গলবার মহাকরণে ১০৩২৩ শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়ায় এই আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ তাঁর দাবি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের হিটলারি মনোভাবের জন্যই ১০৩২৩ শিক্ষকরা আজ পথে বসেছেন৷
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে ভিশন ডকুমেন্টের পাঁচ নং পৃষ্টায় ১০৩২৩ জন শিক্ষকদের সমস্যা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ রয়েছে৷ রাজ্য সরকার সেই প্রতিশ্রুতি থেকে একচুলও নড়েনি৷ তিনি বলেন, নতুন সরকার রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এডহক শিক্ষকদের চাকুরী বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ তাই সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের চাকুরীর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছিল৷ শুধু তাই নয় কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে টেট পরীক্ষায়ও এককালীন ছাড় দেওয়া হয়েছিল৷ সাথে বয়ঃসীমাতেও ছাড় দেওয়া হয়েছিল৷ তাঁর কথায়, বিধানসভায় বলেছি, সংবিধান মোতাবেক ওই শিক্ষকদের সর্বোত সহায়তা করবে রাজ্য সরকার৷ অবশ্য, বেআইনীভাবে তাঁদের চাকুরী বাঁচানো সম্ভব নয়৷
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং শিক্ষা দপ্তরের সচিবের বৈঠকে ভিশন ডকুমেন্ট অনুযায়ী ১০৩২৩ শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যে শিক্ষা দপ্তরের পদস্থ আধিকারীকরা ওই শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে ক্রমাগত কাজ করে চলেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার বিরোধী আন্দোলন হতেই পারে৷ কিন্তু, রাজ্য সরকার ১০৩২৩ শিক্ষকদের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছে৷
এদিন তিনি পূর্বতন সরকারকে একহাত নিয়ে বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের হিটলারি মনোভাবের কারণেই ১০৩২৩ শিক্ষকরা আজ পথে বসেছেন৷ বামফ্রন্ট সরকারের জন্যই ওই শিক্ষকরা বিপন্ন হয়েছেন৷ এখন তাঁদের জন্য মায়াকান্না করছেন৷

