নয়াদিল্লি, ৬ মার্চ (হি.স.): শান্তি ফিরল না| সোমবার থেকে শুক্রবার, প্রতিদিনই দিল্লি-হিংসা নিয়ে উত্তাল হল সংসদের উভয় কক্ষ, লোকসভা ও রাজ্যসভা| শুক্রবারও তুমুল হই হট্টোগোল বজায় থাকায় আগামী ১১ মার্চ বেলা এগারোটা পর্যন্ত লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে| দিল্লি-হিংসার পাশাপাশি ৭ জন কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করা নিয়েও এদিন বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে শাসক-বিরোধী| কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার পরিষদীয় দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন লোকসভায় বলেন, ‘চলতি অধিবেশনে আমাদের ৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে| কিসের ভিত্তিতে এমনটা করা হয়েছে, তা আমাদের জানা নেই? এটা কোনও ছোট বিষয় নয়; আমরা শুধুমাত্র দিল্লি-হিংসা নিয়ে আলোচনা চাইছি|’ কংগ্রেসের ৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে এদিন ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারান বলেছেন, ‘ডিএমকে-র হয়ে, আমি অনুরোধ করছি সাংসদদের (৭ জন কংগ্রেস সাংসদ) সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হোক|’
এরপরই লোকসভায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি বলেছেন, ‘সাংসদরা সংসদের বাইরে থাকুক, সরকার এমনটা কখনই চায় না| কিন্তু, বৃহস্পতিবার যা হয়েছিল, স্বাধীনতার ৭০ বছরেও এমনটা কখনওই হয়নি|’ সংসদে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ‘আচরণ’ প্রসঙ্গে প্রহ্লাদ যোশি বলেছেন, ‘সংসদে এমন ধরনের আচরণ কখনই কাম্য নয়| এর আগে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু আমরা কিছুই করিনি|’ এদিকে, গত ২-৫ মার্চ পর্যন্ত লোকসভায় যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল, সেই সমস্ত ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা| ওই কমিটি তদন্ত শেষে সংসদে রিপোর্ট জমা দেবে, স্পিকার নিজেই ওই কমিটির শীর্ষে|
গত কয়েকদিনের মতো শুক্রবারও দিল্লি-হিংসা নিয়ে উত্তাল হয় সংসদের উভয় কক্ষ| তুমুল হাঙ্গামার কারণে লোকসভা এবং রাজ্যসভা, উভয় কক্ষের অধিবেশন আগামী ১১ মার্চ, বেলা এগারোটা পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে| রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু এদিন জানিয়েছেন, সরকার এবং বিরোধী, উভয় পক্ষের কাছে আমার অনুরোধ অর্থবহ সমাধানে আসুন আপনারা, যাতে সদনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়|