বারাণসী, ১৬ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : শ্রী জগতগুরু বিশ্বারাধ্য গুরুকুলের মহাকুম্ভে রবিবার অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার জগমবাড়ি মঠে শ্রী সিদ্ধান্ত শিখামানি গ্রন্থের হিন্দি সংস্করণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
এদিন কন্নড় ভাষায় ভাষণ শুরু করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জগমবাড়ি মঠ ভাবনাত্মক এবং মনোবৈজ্ঞানিক রূপে বঞ্চিতদের প্রেরণার স্রোতের মতো কাজ করে থাকে। সংস্কৃত ভাষা সহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষা ব্যবহার করে প্রযুক্তির মিসেল ঘটিয়েছে মঠ। ভারতের প্রাচীন জ্ঞান এবং দর্শনের সাগর শ্রী সিদ্ধান্ত শিখামানিকে একবিংশ শতাব্দীর ভারতে বিশেষ রূপে প্রকাশ করার জন্য অভিনন্দন জানাই। ভবিষ্যতের মুক্তির পথ দেখানো এই দর্শন আগামী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়াটা একান্ত জরুরি। সংস্কৃত সহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষার বিস্তারের জন্য কাজ করে চলেছে কেন্দ্র।
দেশের রাষ্ট্রভাবনার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে কোথায় যুদ্ধ জয় করছে সেটা ভারত রাষ্ট্রের সঙ্ঘা নয়। সংস্কৃতি এবং সংস্কারের মেলবদ্ধনে গড়ে উঠেছে ভারতের রাষ্ট্র চিন্তা।
রাষ্ট্র নির্মাণে সাধু, সন্তদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিগত পাঁচবছরে স্বচ্ছভারত অভিযানে পড়ুয়া এবং সাধুরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে।
স্বদেশী পণ্য কেনার আহ্বান করে প্রধানমন্ত্র জানিয়েছেন, স্থানীয় কারখানায় তৈরি হওয়া সামগ্রী কেনা উচিত সাধারণের। স্বদেশী পণ্য কেনা উচিত। পাশাপাশি জলের অপচয় বন্ধ করারও আহ্বান করেন।
গঙ্গা শোধনের সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিগত ছয় বছরে জনসাধারণের সহযোগিতায় গঙ্গা স্বচ্ছ হয়েছে। গঙ্গার পারে থাকা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে। গঙ্গার স্বচ্ছতার জন্য ৭০০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে খরচ করা হয়েছে। ২১০০০ কোটি টাকার কাজ এখনও চলছে।
বহু দশক ধরে আটকে থাকার পর অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের রাস্তা খুলে গিয়েছে। মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্টের ঘোষণা হয়েছে। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্টকে দেওয়া হবে ৬৭ একর জমি। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং অযোধ্যার রাম মন্দিরের কালখণ্ড ঐতিহাসিক।