নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ জানুয়ারি৷৷ রাজনৈতিক সংক্রান্ত মামলায় জড়িয়ে এবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল বামুটিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক কৃষ্ণধন দাসের বিরুদ্ধে৷ পশ্চিম আগরতলা থানায় ২০১৭ সালে দায়ের হওয়া এক মামলা সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারের আদেশ জারি হয়৷ আদালত সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম থানায় দায়ের হওয়া এই মামলার নম্বর পিআরসি (ডব্লিওপি) ২৩৩/ ২০১৭৷ জুডিশিয়াল ফাস্ট ক্লাশ ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়৷
আরো খবর, ২০১৭ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি থেকেই এই মামলাটি হয়েছিল৷ যার মধ্যে বর্তমান বিধায়কের নামও ছিল৷ আর এই মামলার সূত্র ধরে বিধায়ককে আদালতে হাজির হতে এর আগে বার কয়েক সমন জারি হয়েছিল৷ কিন্তু কোন না কোন কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি কৃষ্ণধন দাস৷ এরপরেই নিয়ম অনুসারে আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়৷
পশ্চিম ত্রিপুরার বামুটিয়া এলাকার বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস’র নামে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কোর্ট থেকে৷ যদিও গ্রেফতারী পরোয়ানার বিষয়টি বিধায়ক নিজেও আজ বিকালে টিভি দেখে জানতে পারেন বলে তিনি জানান৷
২০১৭ সালে জুলাই মাসে বামফ্রন্টের শাসনে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছিল বিজেপি দলের তরফে৷ তারজন্যে একটি মামলা হয়েছিল পশ্চিম থানায়৷ মামলাটির শুনানির সময় দুই তিন বার বিধায়ক কোর্টে যাননি বলে জানান সরকারী আইনজীবী বিদ্যুত সুত্রধর৷ তার জন্যে গত ২৮ জানুয়ারী পশ্চিম জেলার প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জনলাল ত্রিপুরা বিধায়কের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছেন৷
বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, দু:খের বিষয় আমার নামে যে গ্রেফতারী পরোয়ানা ছিল তা আমি জানতাম না৷ আজ বিকালে প্রথমে টিভিতে দেখতে পাই৷ তারপরেই বিমানবন্দর থানা থেকে আমাকে ফোন করে জানিয়েছে কাকে দিয়ে নাকি থানা থেকে খবর পাঠানো হয়েছে বলে থানার আধিকারিক বলেছেন বিধায়ককে৷ বিধায়ক অনেকটা উস্মা প্রকাশ করে বলেন এই ভাবে কি হয়৷ তিনি জানিয়েছেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ তাই কোর্টে যাবেন৷ তিনি অসামাজিক কাজ করেননি৷ রাজনীতিকদের রাজনীতি সংক্রান্ত মামলা থাকবে এটাও তিনি বলেন৷ সঙ্গে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস৷