আগরতলা, ১৯ জানুয়ারি (হি. স.) : বড়মুড়া পাহাড়ের নাম বদলে হল ‘হাতাই কতর’৷ ককবরক দিবসে রাজ্যবাসীকে এই উপহার দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ এখানেই যথেষ্ট নয়, আজ তিনি ককবরকে ভাষণ দিয়ে উপস্থিত সকলকে গুণমুগ্দ করে তুলেছেন৷ অবশ্য, আজ প্রথমবার তিনি ককবরকে ভাষণ দিয়েছেন এমনটা নয়৷ শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনে এসটি, এসসি সংরক্ষণ দশ বছর বৃদ্ধি নিয়ে বিলের উপর আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী ককবরকে বক্তব্য রেখেছিলেন৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ চাইলে যে কোন ভাষা শিখতে পারেন৷ তবে, সেই ভাষা মন থেকে গ্রহণ করতে হবে৷ তার জন্য মানসিকতার পরিবর্তন চাই৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় ৩২ শতাংশ জনজাতি অংশের মানুষের বসবাস৷ তাদের মধ্যে ২৯ শতাংশ জনজাতি ককবরকে কথা বলেন৷
আজ ককবরক দিবসের অনুষ্ঠানে ককবরকে ভাষণ দিতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন৷ তিনি মনে করেন, তাঁর এই ক্ষুদ্র প্রয়াসে ককবরক ভাষার জনজাতিরা খুশি হবেন৷
মুখ্যমন্ত্রী এদিন মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে বড়মুড়া পাহাড়ের নাম বদলে হাতাই কতর নামের ঘোষণা দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় বড়মুড়া পাহাড়ের গুরুত্ব অপরিসীম৷ কারণ, ত্রিপুরার জীবনরেখা ৮নং জাতীয় সড়ক বড়মুড়া পাহাড় স্পর্শ করেছে৷ তাই, ককবরক দিবসে বড়মুড়া পাহাড়ের নতুন নামাকরণে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত বলে দাবি করেছেন৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনজাতিদের উন্নয়নে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ তাই, এডিসির অধিক ক্ষমতায়নে জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ সাথে এডিসির অধীনে ৪২টি দপ্তর রাখারও পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে৷