আবু ধাবি, ১৯ জানুয়ারি (হি.স.) : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জী নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে পুরোপুরি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি। যদিও সিএএ-র প্রয়োজনিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুজিব-কন্যা।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবু ধাবিতে এক সাক্ষাৎকারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সিএএ প্রয়োজন ছিল না। ভারত সরকার কেমন এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। উল্লেখ করা যেতে পারে এর আগে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমিন জানিয়েছিলেন যে সিএএ ও এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও জানিয়েছেন, ভারত থেকে এখনই কেউ বাংলাদেশে চলে আসছে না। কিন্তু ভারতে বহু মানুষ এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। বাংলাদেশ সব সময় বলে এসেছে সিএএ ও এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে অক্টোবর দিল্লি সফরে তাঁকে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন বলে জানা হাসিনা। দুই দেশের সম্পর্ক যে খুব ভাল জায়গায় রয়েছে সেই বিষয়ে আশ্বস্ত করে মুজিব-কন্যা বলে একাধিক ক্ষেত্রে নতুন করে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর আইনে পরিণত হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে আসা অমুসলমানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা এই আইনে বলা হয়েছে।