আগরতলা, ১৪ জানুয়ারি (হি. স.) : এটিএম হ্যাক-র সাথে জড়িত ধৃত ৪ হ্যাকারকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
ত্রিপুরার সর্ববৃহৎ এটিএম হ্যাক-র ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে চার বিদেশী নাগরিককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বহু তথ্যের উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। সে মোতাবেক আগরতলা লঙ্কামুড়া ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সুশান্ত ঘোষকে এটিএম হ্যাক-র সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু, পুলিশ লকআপে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
ওই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির জন্য পশ্চিম আগরতলা থানার ডিউটি অফিসার এসআই সঞ্জিত দেববর্মা এবং কনস্টেবল বিশ্বরূপ পালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিকে, সাইবার ক্রাইম-র পুলিশ সুপারের পদ থেকে শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অজিত প্রতাপ সিংকে সাইবার ক্রাইম-র পুলিশ সুপারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এটিএম হ্যাক কাণ্ডে ধৃত দুই তুর্কির নাগরিক এবং দুই বাংলাদেশী নাগরিককে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ সূত্রধর জানিয়েছেন, পুলিশ রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে তোলা হয়েছিল। পুলিশ আদালতে পরবর্তী রিমান্ডের আবেদন জানায়নি। তাই, আদালত চারজনকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগরতলা শহরের বিভিন্ন এটিএম হ্যাক করে ৭০ লক্ষাধিক টাকা লুটে নিয়েছিল হ্যাকাররা৷ ওই হ্যাকিংয়ে তুর্কির বাসিন্দা হাকান জানবুরকান, ফেতাহ আলদেমির এবং দুই বাংলাদেশি নাগরিক মহম্মদ হান্নান ও মহম্মদ রফিকুল ইসলাম যুক্ত ছিল৷ অসমেও তারা এটিএম হ্যাকিং করেছিল। অসম পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছিল। তারা কলকাতায় বসে এটিএম হ্যাক করেছিল। তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গত ১৯ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল৷