জেএনইউ হিংসার জন্য বামপন্থী পড়ুয়ারাই দায়ী, ছবি প্রকাশ করে দাবি দিল্লি পুলিশের

নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি (হি.স.) : ছবি প্রকাশ করে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে(জেএনইউ)-এর হিংসার একপ্রকার বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের দায়ী করল দিল্লি পুলিশ। গত ৪ জানুয়ারি জেএনইউ-এর সার্ভার রুমে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের জড়িত থাকার দাবি করে পুলিশ। তবে হস্টেলে হামলাকারীদের সম্পর্কে তথ্য নেই পুলিশের হাতে।

শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন দিল্লি পুলিশের ডিসিপি তথা জেএনইউ কাণ্ডে ঘটিত তদন্তকারী সিট-এর শীর্ষ আধিকারিক জয় তিরকে| তাঁর দাবি, পাঁচ তারিখে যে হিংসায় ঐশী ঘোষ-সহ ৩৪ জন আহত হয়েছেন, তার আগেও দু’দিন লাগাতার মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। এই হিংসায় নেতৃত্ব দিয়েছিল চারটি বামপন্থী সংগঠন। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে ছবিও প্রকাশ করা হল সাংবাদিক বৈঠকে। পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবার ১-৫ জানুয়ারি অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর বিরোধিতা করে এসএফআই, আইসা, এআইএসএফ, ডিএসএফ। পুলিশ জানিয়েছে, অনেক পড়ুয়া রেজিস্টার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চার বাম ছাত্র সংগঠন ও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীলরা পড়ুয়াদের তা করতে বাধা দেয়। পুলিশ গত সপ্তাহে হিংসার ঘটনায় নয় সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে। তাঁদের বেশিরভাগই বাম নিয়ন্ত্রিত ছাত্র সংসদের সঙ্গে যুক্ত। এরা হলেন চুনচুন কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, ঐশি, ওয়াশকর বিজয়, সুচেতা তালুকদার, প্রিয় রঞ্জন, দোলন সবন্ত, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ ও বিকাশ পটেলের নাম করেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন এবিভিপি-র সঙ্গে যুক্ত বলে খবর। বাকিরা বাম ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত।

পুলিশ জানিয়েছে আগের দুই দিনের এই বিক্ষোভের জেরেই পাঁচ জানুয়ারি সবরমতী হস্টেলে হামলা হয়। তবে, ওই হামলায় এখনও কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। ৫ জানুয়ারি যে সবরমতী হস্টেলে হামলার তদন্ত নিয়ে দিল্লি পুলিশ বলছে, পাঁচ জানুয়ারি হামলা চালানো হয় সবরমতী হস্টেলে। সেখানেও বেছে বেছে কিছু পড়ুয়াকে আক্রান্ত হতে হয়। এখানেই আক্রান্ত হন ঐশী ঘোষ-সহ ৩৪ জন। কিন্তু, ওই সময় অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া এদের মুখ ঢাকা ছিল। তাই, এদের শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে পুলিশের। তাছাড়া সিসিটিভি রেকর্ডিংও মেলেনি। কারও ফোনে ভিডিও-ও নেই। আমরা যে কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি, সবটাই ভাইরাল ভিডিও দেখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *