নাবালিকা গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ডিসেম্বর৷৷ বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে সংসার বাঁধতে চেয়েছিল নাবালিকা ৷ তবে বাস্তবে তা সম্ভব হল হল না নাবালিকা গৃহবধূর ক্ষেত্রে৷ অগ্ণিদগ্দ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷ ওই ঘটনায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে৷


দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজারে অজয় রায়ের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল কল্যাণপুর ঘনিয়ামারার সুপ্রিয়া চৌধুরীর৷ জানা গেছে, প্রায় দুমাস আগে অজয়ের হাত ধরে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ণ নিয়ে বাপের বাড়ি ছেড়েছিলেন ওই নাবালিকা৷ প্রায় দু মাস তাদের সংসার চলেছে৷ তবে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়নি৷ উভয় পক্ষের মধ্যে সামাজিক বিয়ে নিয়ে দর কষাকষি চলছিল৷ পাত্রপক্ষ নগদ ৫০ হাজার টাকা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র দাবি করেছিল বলে জানান মৃতার নিকটাত্মীয়৷


ওই আত্মীয়ের কথায়, সুপ্রিয়ার মা-বাবা ২৫ হাজার টাকা মিটিয়ে দিতে রাজি হয়েছিলেন৷ সে অনুযায়ী সামাজিক বিয়ের আগেই ১৫ হাজার টাকা হাতে তুলে দেওয়া হয় অজয়ের পরিবারের হাতে৷ টাকা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই সুপ্রিয়ার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুণ ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ তাঁর দাবি, দীনদরিদ্র পরিবারের সুপ্রিয়ার মা-বাবার পক্ষে চাহিদা অনুযায়ী নগদ টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী মিটিয়ে নিতে না পারায় আগুনে পুড়িয়ে করে হত্যা করা হয়েছে সুপ্রিয়াকে৷


তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে জিবিতে স্থানান্তর করা হয়৷ কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি৷ চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই গৃহবধূ ৷ এদিকে জি বি হাসপাতালে মৃতের পরিবার তাঁর স্বামী ও শাশুড়িকে উত্তম মধ্যম দিয়েছে৷ খবর পেয়ে জি বি ফাঁড়ির পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তাদের উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করেন৷ এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফ থেকে থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ শান্তিরবাজার থানার পুলিশ মৃতের স্বামী ও শাশুড়িকে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে গেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *