রাজ্যে হাহাকার বাণে বিদ্ধ বিজেপি ও সারা ভারত কিষান সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ নভেম্বর৷৷ হাহাকার বাণে বিদ্ধ বিজেপি ও সারা ভারত কিষান সভা৷ গ্রামে হাহাকার শুরু হয়েছে৷ সারা ভারত কিষান সভার এই অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি৷ আজ সাংবাদিক সম্মেলনে কিষান সভার রাজ্য সম্পাদক নারায়ণ কর অভিযোগ করেন, ১৯ মাসে ত্রিপুরায় গ্রামাঞ্চলে হাহাকার শুরু হয়েছে৷ কারণ, কাজ ও খাদ্যের অভাবে মানুষ ভুগছেন৷ এই অভিযোগের খণ্ডন করে বিজিপি প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য পাল্টা নিশানা করে বলেন, সিপিএমে হাহাকার শুরু হয়েছে৷ কারণ, দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির জন্য বাদল চৌধুরীর আরও অনেকেই ধরা পড়বেন, তা নিশ্চিত হয়ে গেছে৷ তাঁর দাবি, সিপিএম কর্মীরাও সমস্ত দুর্নীতির প্রমাণ সামনে আনছেন৷ ফলে, কেউ পার পাবেন না, সে-কথা নারায়ণ কর বাবুরা বুঝে গেছেন৷


আজ নারায়ণ কর বলেন, রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের ১৯ মাসে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে৷ তাঁর অভিযোগ, ২০০ দিন রেগার কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে এখন গড়ে ৩৫ দিন কাজ হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ৩৪০ টাকা মজুরির প্রতিশ্রুতিও পূরণ হয় নি৷ কারণ রেগে শ্রমিকরা ১৭৯ টাকা করে মজুরি পাচ্ছেন৷ তাঁর কথায়, আগে মানুষ রাবার বাগান, ফলের বাগান, সবজি বাগানে কাজ করে যায় করতেন৷ কিন্তু, এখন উদ্যান পালনে কোন কাজ হচ্ছে না৷ ফলে, মানুষের যায় কমে গিয়েছে৷ তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, অমানবিকভাবে বার্ধক্য ভাতা, সামাজিক ভাতা বহু মানুষের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ ব্লক অফিস ডেকে নিয়ে গিয়ে অযথা হয়রানি করা হয়েছে৷ সবকিছু মিলিয়ে গ্রামাঞ্চলে হাহাকার শুরু হয়েছে৷ কারণ গ্রামীণ অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, দাবি করেন তিনি৷


কিষান সভার এই এই সমস্ত অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি৷ দলের প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচাযর্ে্যর কথায়, এখন সিপিএমে হাহাকার শুরু হয়েছে৷ কারণ, দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির জন্য বাদল চৌধুরীর পর আরো অনেকেই ধরা পড়বেন তা নিশ্চিত হয়ে গেছে৷ শুধু তাই নয়, নারায়ণবাবুরাও ধরা পড়তে চলেছেন, তাও তাঁরা বুঝে গেছেন৷ নবেন্দুবাবু বলেন, সিপিএম পার্টির ঘনিষ্ঠরাই সমস্ত দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির প্রমান রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিচ্ছেন৷ তাই, ওই পার্টির এখন বেহাল অবস্থা হয়েছে৷


নবেন্দুর বক্তব্য, ভাতা বন্ধের অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য৷ কারণ, ৯ হাজার ভুয়ো বার্ধক্য ভাতা চিহ্ণিত হয়েছে৷ তাঁর কটাক্ষ, সারা ভারত কিষান সভা দিশেহারা হয়ে পড়েছে৷ কারণ, কৃষকরাই এখন তাঁদের পাশে থাকতে চাইছেন না৷ তিনি বলেন, কিষান সভা কৃষকদের মাঠ থেকে তুলে এনে রাস্তায় দাঁড় করিয়েছিল৷ তাঁদের ফের মাঠে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর দাবি, সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক কল্যাণ প্রকল্পে কৃষকরা দারুণভাবে উপকৃত হয়েছেন৷ নবেন্দুবাবু আজ বিদ্রুপের সুরে বলেন, সারা ভারত কিষান সাভার সমস্ত বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা মাত্রা৷ তবুও, তাদের, শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, চাইছে বিজেপি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *