রাজ্যের সর্বকালীন রেকর্ড ভঙ্গ, টেট-২ পরীক্ষা দিলেন ৮৬.৩৯ শতাংশ আবেদনকারী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ অক্টোবর৷৷ শিক্ষক নিয়োগে আজ ত্রিপুরায় টেট-২ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ প্রায় ৮৬.৩৯ শতাংশ আবেদনকারী রবিবার পরীক্ষা দিয়েছেন৷ এতে ত্রিপুরায় টেট পরীক্ষায় সর্বকালীন রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে বলে দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ তাঁর কথায়, ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টেট পরীক্ষায় উপস্থিতির হার এবারই সবচেয়ে বেশি৷


তিনি জানিয়েছেন, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বিএড এবং ডিএলএড এককালীন ছাড় দিয়ে আজ টেট-২ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এর জন্য ৫৮,৩৪১ জন আবেদন জমা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু আজ ৫০,৪০৩ জন আবেদনকারী পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন৷ তিনি জানান, প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুপুর সাড়ে বারোটায় শুরু হয়ে দুপুর তিনটায় পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে৷ তাঁর কথায়, এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি৷ খুব সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছেন৷


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই পরীক্ষায় সাধারণ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য কাট অফ মার্কস ৯০ এবং এসসি ও এসটি শ্রেণিভুক্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য কাট অফ মার্কস ৮৩ নির্ধারণ করা হয়েছে৷ তাঁর দাবি, সারা দেশের সাথে সাযুজ্য রেখেই ত্রিপুরায় কাট অফ মার্কস নির্ধারণ হয়েছে৷ এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় টেট-২ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এবার সর্বকালীন রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে৷ এবার ৮৬.৩৯ শতাংশ আবেদনকারী পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন৷ যেখানে ২০১৭ সালে ৬৯ শতাংশ, ২০১৮ সালে সেপ্ঢেম্বরে ৮৪.৬১ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে ৮৬.০৭ শতাংশ আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন৷
প্রসঙ্গক্রমে মন্ত্রী জানান, টেট পরীক্ষার্থীর মেয়াদ সাত বছর৷ ফলে পরীক্ষায় যাঁরা উতরোবেন তাঁদের ওই সময়ের (সাত বছর) মধ্যে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে৷ তবে যাঁরা এককালীন ছাড়ের সুযোগ নিয়ে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা যোগ্য বলে বিবেচিত হলে মেয়াদের সময়সীমা হবে ২০১১ সালের ২১ মার্চ৷


এছাড়া জেলাভিত্তিক আবেদনকারীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সিপাহিজলা জেলায় সবচেয়ে বেশি ৮৮.৬৫ শতাংশ, খোয়াই জেলায় ৮৮.৪৪ শতাংশ, দক্ষিণ জেলায় ৮৮.১৯ শতাংশ, ঢালাই জেলায় ৮৩.৭৩ শতাংশ, গোমতি জেলায় ৮৭.২৭ শতাংশ, উত্তর ত্রিপুরায় ৮৬.৪৬ শতাংশ, ঊনকোটি জেলায় ৮৪.৪৩ শতাংশ এবং পশ্চিম জেলায় ৮৪.৯৭ শতাংশ আবেদনকারী আজ টেট-২ পরীক্ষা দিয়েছেন৷


তিনি দাবি করেন, টেট পরীক্ষায় ত্রিপুরা গোটা দেশে ব্যতিক্রমী নজির স্থাপন করেছে৷ অনেক রাজ্যে বছরের পর বছর টেট পরীক্ষাই নেওয়া হয় না৷ অথচ, ত্রিপুরায় বছরে দুবার টেট পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেন, প্রচুর ছেলেমেয়ে এখন টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন৷ আগামীদিনে আরও বেশি সংখ্যায় ছেলেমেয়েরা এই পরীক্ষায় বসার জন্য এগিয়ে আসবেন বলে আশাবাদী তিনি৷