মনসা পূজাকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে দুই ভাইয়ের হামলায় হত এক, শিশুসহ আহত চার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ আগস্ট৷৷ মনসা পূজার নিমন্ত্রণে গিয়ে বিবাদের জেরে দুই ভাইয়ের আক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে৷ আহত হয়েছেন চারজন৷ তাঁদের জিবি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাই পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে৷


রবিবার আমতলি থানাধীন সেকেরকোটের হাতিরলেডা গ্রামে একটি মনসা পূজার আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানে নিমন্ত্রিত ছিলেন স্থানীয় নকুল সাহা এবং সঞ্জীব দাস ও অন্যান্যরা৷ এলাকাবাসীর বক্তব্য, গতকাল রাতে মনসা পূজার নিমন্ত্রণে গিয়ে সঞ্জীব দাস এবং নকুল সাহার মধ্যে সামান্য একটি বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়৷ তা একসময় হাতাহাতির পর্যায়ের পৌঁছে যায়৷ তখন উপস্থিত অন্যান্য গ্রামবাসী তাঁদের আটকান৷ পরে সঞ্জীব দাস সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান৷ এর পরই সঞ্জীব দাস ও তার ভাই রতন দাসের আক্রমণে নকুল সাহা-সহ আরও চারজন গুরুতর আহত হন৷ তাদের মধ্যে নকুল সাহা আজ সকালে মারা যান৷


এ-বিষয়ে আমতলি থানার এসডিপিও অনির্বাণ দাস জানিয়েছেন, গতকাল সঞ্জীব দাস এবং নকুল সাহার মধ্যে ঝামেলা হলেও ওই সময় তা মিটে গিয়েছিল বলে অন্যান্যরা মনে করেছিলেন৷ কিন্তু, রাত একটা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে নকুল সাহাকে আক্রমণ করেন সঞ্জীব দাস ও তার ভাই রতন দাস৷ এসডিপিও জানান, দা এবং রড নিয়ে নকুল সাহার উপর আক্রমণ চালান দুই ভাই৷ ওই সময় সেখানে উপস্থিত গকুল সাহা, নিমিশ সরকার, সাধন দাস এবং অনিমেষ সরকার বাধা দিতে গেলে তারাও আক্রান্ত হন৷ এসডিপিও-র কথায়, স্থানীয় জনগণ চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এবং আহতদের উদ্ধার করে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানে আজ ভোরে নকুল সাহা মারা যান৷


তিনি বলেন, ওই ঘটনায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু, অভিযুক্ত দুই ভাই পলাতক৷ তাঁদের খুঁজে তল্লাশি চলছে৷ এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে৷
এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দিনভর এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে৷ বিশাল সংখ্যায় পুলিশ সেখানে মোতায়েন করা হয়৷ নিহতের পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে৷ এদিকে, জানা গিয়েছে হামলায় নিহত ব্যক্তি বিরোধী সিপিএম কর্মী ছিলেন৷ তার মৃত্যুতে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেন৷ সেই সাথে আহতদের খোঁজ খবর নিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *