রাজপথে পুলিশের রণসাজ, গণহারে বাজেয়াপ্ত করা হল বেআইনী ই-রিক্সা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ আগস্ট৷৷ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পয়লা আগস্ট থেকেই পারমিট বিহীন ই-রিক্সা চলাচল বন্ধ করতে পথে নেমেছে পরিবহণ দপ্তর ও ট্রাফিক পুলিশ৷ পারমিট বিহীন কোন ই রিক্সাকে চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক ও ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিক৷ রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পরিবহণ দপ্তরের জারি করা ই রিক্সা সংক্রান্ত সার্কুলার কার্যকর করতে রাস্তায় নামল ট্রাফিক পুলিশ৷ বটতলা সহ বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশ বেআইনি ই রিক্সাগুলি আটক করে তাদের হেপাজতে নিয়ে গেছে৷


এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, সরকারিভাবে গত কয়েকদিন ধরেই পারমিট বিহীন ই রিক্সা রাস্তায় চলাচল না করার জন্য ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও পারমিট বিহীন ই রিক্সা রাস্তায় নামলে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশ অমান্য করার দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া কোন পথ খোলা নেই৷ এ বিষয়ে কোন ধরনের আলোচনা থাকলে ই রিক্সা শ্রমিকরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতেই পারে৷ দপ্তরের পক্ষে এ বিষয়ে কোন ধরনের সহানুভূতি দেখানোর সুযোগ নেই৷ পরিবহণ দপ্তরের ঐ কর্মকর্তা জানান, আগরতলা শহর এলাকায় প্রায় ৫ হাজার ই রিক্সা রয়েছে৷ এর মধ্যে বড়জোর ৫০০ ই রিক্সার পারমিট রয়েছে৷ বাকি সাড়ে চার হাজার ই রিক্সার পারমিট নেই৷ এমনকি এই সব ই রিক্সা কোন দিনই পারমিট পাবেনা৷ এর কারণ হিসেবে পরিবহণ দপ্তরের ঐ কর্মকর্তা বলেন, যেসব মডেলের ই রিক্সা বিক্রয়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদের ই রিক্সার মডেলগুলোর সঙ্গে কোন মিল নেই৷


মডেলগুলিতে সেসিস নম্বর সহ অন্যান্য বিষয় উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক৷ পরিবহণ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া যেসব ই রিক্সা ডিলাররা বিক্রি করেছে সেগুলির সেসিসে কোন ধরনের নম্বর নেই৷ স্বাভাবিক কারণেই সেগুলির বৈধ অনুমতি পাওয়া কোন দিনই সম্ভব হবে না৷ এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হল নতুন করে ই রিক্সা ক্রয় করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ পরিবহণ দপ্তরে আবেদন করা৷ ট্রাফিক পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যেহেতু পারমিট বিহীন ই রিক্সা চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে সেহেতু সরকারের নির্দেশ পালন করাই তাদের দায়িত্ব৷ পারমিট বিহীন কোন ই রিক্সা রাস্তায় চলাচল করলে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হবে৷ আজ থেকেই সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশ সুপার৷ প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের ফলে ই রিক্সা চালকরা রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন৷ তাদের রুটি রোজি স্তব্ধ হয়ে পড়েছে৷ তাতে নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে ইঙ্গিতও মিলেছে৷ কেননা ইতিমধ্যেই ই রিক্সার শ্রমিকরা আন্দোলনে সামিল হওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *