মুম্বই, ২৯ জুলাই (হি.স.) : মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়ে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমাল স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। প্রায় সব আমানতেই কমছে সুদের হার। স্বল্পমেয়াদি থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি, প্রায় সমস্তরকম আমানতেই কমানো হল সুদ। ৪৫ দিন থেকে শুরু করে ১০ বছর পর্যন্ত মেয়াদে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বৃহত্তম ব্যাংক। সাধারণত সুদ কমলেও প্রবীণ নাগরিকদের আমানতের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু এবারে প্রবীণ নাগরিকের ক্ষেত্রেও সুদ কমছে। সুদের হার কমে যাওয়ায় মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার জন্য যথেষ্ট।
এসবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন সুদের হার লাগু হবে। মূলত, বাজারে নগদের পরিমাণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অন্যান্য কয়েকটি বিষয়ের উপরেই নির্ভর করে সুদের হার। সেসবই এখন প্রতিকূলে। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই কমানো হচ্ছে সুদ।
এসবিআই জানিয়েছে, ৭ দিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত মেয়াদের আমানতে সুদের হার ৫.৫৭ থেকে কমিয়ে করা হল ৫ শতাংশ। ৪৬ দিন থেকে ১৭৯ দিন পর্যন্ত অর্থাৎ ৬ মাস মেয়াদের আমানতের ক্ষেত্রে সুদের হার ৬.২৫ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৫.৭৫ শতাংশ। ৬ থেকে ৭ মাসের মেয়াদের আমানতের ক্ষেত্রে সুদের হার কমানো হয়েছে ১০ বেসিস পয়েন্ট। এক্ষেত্রে নতুন সুদের হার হচ্ছে ৬.২৫ শতাংশ।
স্বল্প সময়ের স্বল্পমেয়াদি অন্যান্য আমানতের ক্ষেত্রে ২১১ দিন থেকে এক বছর পর্যন্ত মেয়াদি আমানতের ক্ষেত্রে সুদ ৬.৪০ থেকে কমিয়ে করা হল ৬.২৫ শতাংশ। একবছর থেকে দু’বছর পর্যন্ত মেয়াদি আমানতের ক্ষেত্রে সুদ ২০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে করা হল ৬.৮০ শতাংশ। দুই বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত আমানতের ক্ষেত্রে সুদ কমেছে ৫ বেসিস পয়েন্ট। নতুন সুদ ৬.৭০ শতাংশ। তিন বছর থেকে ৫ বছরের আমানতের ক্ষেত্রে সুদের হার ১০ বেসিস পয়েন্ট কমে হল ৬.৭০ শতাংশ। ৫ থেকে ১০ বছরের পর্যন্ত আমানতের ক্ষেত্রে সুদের হার কমে দাঁড়াল ৬.৫০ শতাংশ। সুদের অঙ্ক একধাক্কায় এভাবে কমে যাওয়ায় এসবিআই-য়ে এতদিনের কষ্টার্জিত সঞ্চয় রেখে যে লাভের আশা ছিল করেছিল মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি, তা বেশ খানিকটা ধাক্কা খেল৷
তবে গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে কয়েকদিন আগেই বড়সড় ঘোষণা করে দেশের সবথেকে বড় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক। আরটিজিএস, এনইএফটির মতো এবার আইএমপিএসের ক্ষেত্রেও বড়সড় সুবিধার কথা ঘোষণা করে এসবিআই। নতুন নিয়মে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত আইএমপিএসে কোনও চার্জ লাগবে না। এই সিদ্ধান্তে ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে মানুষের আরও আগ্রহ বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।