নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুন৷৷ অম্বুবাচী হিন্দুধর্মের বাৎসরিক উৎসব৷ অম্বুবাচীকে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় অমাবতীও বলে৷ হিন্দুদের শাস্ত্রে পৃথিবীকে মা বলা হয়ে থাকে৷ বেদেও একই রকম ভাবে তাঁকে মা রূপে বর্ণনা করা হয়েছে৷ আবার পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলে সম্বোধন করা হয়েছে৷ আষাঢ মাসে রবি মিথুন রাশিস্থ আর্দা নক্ষত্রের প্রথমপাদে অর্থাৎ এক চতুর্থাংশ স্থিথিকালে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হন৷ সেই সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়৷
এই প্রচলিত আচারের পিছনে রয়েছে পৃথিবী আমাদের মা, এই বিশ্বাস৷ পৃথিবীতেই তো মানুষের জন্ম৷ শুধু মানুষ নয়, ফুল, পাখি, প্রকৃতি এক কথায় সবাই তো পৃথিবীর সন্তান৷ মহাজাগতিক ধারায় পৃথিবী যখন সূর্যের মিথুন রাশিস্থ আর্দা নক্ষত্রে অবস্থান করে৷ সে দিন থেকে বর্ষাকাল শুরু ধরা হয়৷ ধর্মীয় আচার হলেও এর সঙ্গে প্রাচীন কৃষি ব্যবস্থা জড়িয়ে থাকায় এটির একটি সামাজিক প্রভাবও রয়েছে৷ ফলে অম্বুবাচী একটি কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠানও৷ এর অর্থ ধরিত্রীর উর্বরাকাল৷
এই তিন দিন জমিতে কোনও রকম চাষ করা হয় না৷ উর্বরতাকেন্দ্রিক কৃষিধারায় নারী এবং ধরিত্রী সমার্থক বলে গণ্য করা হয়৷ সেই ধ্যানধারণা থেকেই আষাঢ় মাসের শুরুতে পৃথিবী বা মাতা বসুমতী যখন বর্ষার নতুন জলে সিক্ত হয়ে ওঠেন৷ তখন শুরু হয় অম্বুবাচী প্রবৃত্তি৷ প্রাচীন কাল থেকেই এই নিবৃত্তির পরই ফের জমিতে চাষাবাদ করতেন কৃষকেরা৷ এখনও বিভিন্ন জায়গায় এই নিয়ম মেনে চলা হয়৷ রাজধানীর লক্ষ্মী নারায়ণ বাড়িতে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে অংশ নেন মহিলারা৷ সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা৷